কুমিল্লায় মেডিকেলে উত্তীর্ণ যমজ ২ ভাইয়ের দায়িত্ব নিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়া কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের অটোরিকশা চালকের সেই দুই মেধাবী ছেলের দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। ওই দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার খরচ বাবদ তৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকাও প্রদান করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনোহরগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে মন্ত্রীর পক্ষে তাদের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।

সরকারি মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের হাসনাবাদ ইউনিয়নের মানরা গ্রামের অটোরিকশা চালক বিল্লাল মিয়ার দুই মেধাবী যমজ সন্তান আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন।

আরিফ হোসেন ৮২২তম হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ও শরিফ হোসেন ১১৮৬তম হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এ দুই মেধাবীর অভাবনীয় সাফল্যের খবরে আনন্দের বন্যা বইলেও ভর্তি ও পড়ালেখার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। প্রতিদিনের সংবাদে খবরটি ছাপা হলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মহোদয়ের নজরে আসে।

যমজ দুই ভাই আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন জানায়, আমাদের এ সাফল্যের খবরে এলাকার কৃতি সন্তান ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অতীতের মতো আবারো সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এই জন্য আমাদের পরিবার মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ।

অটোরিকশা চালক বিল্লাল মিয়া জানান, ‘মন্ত্রী মহোদয় মো. তাজুল ইসলাম আগেও আমার দুই ছেলের লেখাপড়ার জন্য সহায়তা করেছেন। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার খবরে তিনি ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। আরো সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ জন্য আমরা আনন্দিত ও মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। মন্ত্রী মহোদয়ের নেক হায়াত ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাস্টার আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দরিদ্রতার মধ্যেও লড়াই করে আরিফ ও শরিফের এ সাফল্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে। এটা সমাজের জন্য অনুকরণীয়। তাই আমাদের প্রিয় নেতা স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তাদের জন্য ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘শেখ হাসিনার সরকারের আমলে অর্থাভাবে কারো লেখাপড়া বন্ধ হয়নি। শিক্ষার সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সহায়তায় এ সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।’

তিনি আরো বলেন, ‘মেধাবী আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন আমাদের এলাকার গর্ব। তারা দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছে।’ মন্ত্রী আরো বলেন ‘তাদের এ খুশির খবরে উপহার হিসেবে ১ লাখ টাকা পাঠিয়েছি। ভবিষ্যতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে অতীতের মতো তাদের আরো সব ধরনের সহায়তা করা হবে।’

দুই মেধাবীর হাতে অর্থ হস্তান্তরের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন, কামাল হোসেনসহ আরো অনেকে।

আরো পড়ুন