কুমিল্লায় স্কুল-কলেজের শ্রেণীকক্ষে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু

কুমিল্লায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচ্ছনতার কাজ শুরু হয়েছে। পরিষ্কার করা হচ্ছে ধুলোমাখা বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ড, ক্লাস রুম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতধোয়ার বেসিন স্থাপন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য হাতধোয়ার সঠিক নিয়ম, মাস্ক পরার নিয়ম, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচারও টাঙানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।

আজ মঙ্গলবার কুমিল্লার নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড মডেল কলেজ, বেপজা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা মডার্ন স্কুল, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, কুমিল্লা হাই স্কুল, শাকতলা উচ্চ বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন মাদরাসা, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক আলমগীর স্বপন বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধের কারণে ছেলে-মেয়ে বই খাতার কথা যেন ভুলেই গেছে। স্কুল খোলার খবর পেয়ে আমরা আনন্দিত। বাচ্চারা স্কুলে যেতে অপেক্ষা করছে। দুটি বছর তারা পড়াশোনা থেকে বাইরে, সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার সিন্ধান্তে সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, ভালো একটি কলেজে ভর্তি হতে পেরে মনে খুব আনন্দ পেয়েছি। জীবনে এ সময়টির অপেক্ষায় ছিলাম। স্কুলজীবন শেষ করে কলেজ জীবনে যাব। দুঃখের বিষয় করোনা ভাইরাসের কারণে প্রথম বর্ষটি বন্ধের মধ্যেই শেষ হয়ে গেল। অবশেষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার খবরে আনন্দ পাচ্ছি। অবশেষে ক্লাস করার জন্য অপেক্ষায় আছি।

কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ১৭ মাস প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সরকারী ইঙ্গিত পেয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমার ক্লাস পরিচালনা করবো। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। সরকারের আদেশ পেলেই ক্লাস চালু করতে পারব। আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে কোনো সমস্যা হবে না। যারা মাস্ক পড়ে আসবে তাদেরকে ক্লাস রুমে ঢোকানো হবে। হ্যান্ডস্যানি টাইজেশনসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল প্রস্তুুতি আমরা সম্পন্ন করছি।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও নানা মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। কোনোভাবেই গাদাগাদি বা ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার সুযোগ নেই।

আরো পড়ুন