কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা, কাউন্সিলর আলমগীর তিনদিনের রিমান্ডে

কুমিল্লা নগরীর ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ কর্মী আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনরে (কুসিক) কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে কুমিল্লার ৯ নম্বর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহমুদ খান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর।

ওই ব্যবসায়ী হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আলমগীর গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামিন নিতে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যান। সেদিন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন আলমগীর। উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হলে ওইদিন আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিনের আবেদন করেন তিনি।

পুলিশ পরিদর্শক কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, কাউন্সিলর আলমগীরকে কারাগারে প্রেরণের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করি। সেই আবেদনের শুনানি হয় মঙ্গলবার দুপুরে। পরে আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হবে। আশা করছি- জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।

নিহত ওই ব্যবাসায়ীর পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর কোটবাড়ি সড়কের চাঙ্গিনি মোড় এলাকায় কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর আলমগীরসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত ব্যবাসায়ী আক্তারের স্ত্রী রেখা বেগম। মামলাটির তদন্ত করছে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ।

এ মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর আলমগীর কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদে ছিলেন। এ ঘটনার কারণে গত বছরের ২৪ জুলাই তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক বিরোধে ঘটে ওই হত্যাকাণ্ড। হত্যার শিকার আক্তার হোসেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহজালাল আলাল বলেন, কাউন্সিলর আলমগীরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। এরপর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে আমাদেরও বিভিন্ন হুমকি দিয়েছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। আমরা আলমগীরসহ সকল খুনিদের ফাঁসি চাই।

সূত্রঃ সমকাল

আরো পড়ুন