কুমিল্লা কালির বাজারে নির্বাচনী মিছিলে হামলা, ৬ জন আহত

চতুর্থ ধাপে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিনই আদর্শ সদর উপজেলার ১নং কালির বাজার ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের চোরাগুপ্তা হামলায় আহত হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সেকান্দর আলীর ৬ কর্মী-সমর্থক। গতকার রাত ৮টার দিকে ইউনিয়নের মনশাসন গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মাথায় মারাত্মক জখম হওয়া ১জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৩জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার জন্য সেকান্দর আলী চেয়ারম্যান প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলামের লোকজনকে দায়ী করেছেন। বিএনপি জামায়াতের লোকজন নিয়ে তারা এ হামলা চালিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নূর এর আত্মীয় মনশাসন গ্রামের আলম, কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা এলাকায় বিএনপি জামায়াতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আত্মীয় হওয়ার সুবাধে তারা নৌকার পক্ষ নিয়েছে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিন গতকাল বুধবার সকালে ইউনিয়নে মিছিল শো-ডাউন করে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক। সন্ধ্যার পর হোন্ডা মিছিল বের করে আনারস প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সেকান্দর আলী চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকরা। তারা মিছিল নিয়ে পুরো ইউনিয়ন পদক্ষিন করে। রাত ৮টার দিকে মনশাসন বেলতলী এলাকায় পৌছলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষরা মিছিলের পিছনে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়। এতে ধনুয়াখলা গ্রামের মো: সেলিম (৫০), হাতিগারা গ্রামের মেহেদী হাছান (২৭), আনন্দপুর গ্রামের ফরহাদ (২৫), জশপুর গ্রামের এরশাদ (৩৫) সহ ৬জন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে মাথায় কুপ পড়ে মারাত্মক জখম হয় সেলিম।

গুরুতর আহত সেলিম ও মেহেদি সহ আহদের প্রথমে ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টায় সেলিমকে ঢাকায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তাঁর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় র‌্যাব টহল দিচ্ছে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি জানায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরো পড়ুন