কুমিল্লা গোমতীর নদীর মাটি-বালু অবৈধভাবে উত্তোলনের অভিযোগ

কুমিল্লার গোমতী নদীর আদর্শ সদর উপজেলা এলাকার অন্তত ১৩টি স্থান থেকে একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নদীর বাঁধসংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও ৩টি ব্রিজ হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে কুমিল্লা নগরীর নজরুল এভিনিউ এলাকার মডার্ণ কমিউনিটি সেণ্টারে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন নদীর পাঁচটি বালু মহালের ইজারাদার মাহাবুবুর রহমান।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসন থেকে গত ১১ জুন গোমতী নদীর বালু মহাল ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে মাহাবুবুর রহমানের মেসার্স এম. রহমান ও মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশন সহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এতে এক কোটি ৫০ লাখ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হওয়ায় মেসার্স এম. রহমান প্রতিষ্ঠানটি নদীর পাঁচটি বালু মহালের ইজারা পায়।

এদিকে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী মেসার্স রিফাত কনস্ট্রাকশনসহ অন্যরা দরপত্রের শর্তানুযায়ী জেলা প্রশাসনে আবেদন দাখিল করে ৬ জুলাই দরপত্র জামানতের পে-অর্ডারের টাকা তুলে নেয়। পরদিন ৭ জুলাই টাকা পরিশোধের পর জেলা প্রশাসন কর্তৃক সাইনবোর্ড টানিয়ে মেসার্স এম. রহমান প্রতিষ্ঠানকে পাঁচটি বালু মহালের দখল বুঝিয়ে দেয়া হয়।

মেসার্স এম. রহমান প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন কর্তৃক তাকে পাঁচটি বালু মহালের দখল বুঝিয়ে দেয়ার পর পূর্বের ইজারাদারের লোকজন নদীর অন্তত ১৩টি পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ইতিপূর্বে প্রশাসন থেকে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার সরঞ্জামাদি ভেঙ্গে ফেলা হলেও পুনরায় বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে বিক্রির কারণে নদীর বাঁধ ও ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এর প্রতিবাদ করায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রটি বৈধ ইজারাদার মাহবুবুর রহমান ও তার লোকজনকে প্রাণনাশসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এরই মধ্যে এ চক্রটি প্রায় ৩ কোটি টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়েছে। তাই এসব বালু ও বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি প্রশাসন কর্তৃক বাজেয়াপ্ত করাসহ প্রশাসন কর্তৃক কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক ডিজিএস সোহেল উদ্দিন সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা মনির হোসেন, মোহাম্মদ মাসুদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ, তপন, মাসুদুর রহমান, মোশারফ হোসেন শামীম, রাশেদ মিনহাজ, জাহেদুল আলম, মো. সেলিম, শাহরিয়ার মাহমুদ, মনিরুল হক ভূঁইয়া প্রমুখ।

আরো পড়ুন