কুমিল্লা চলবে কুমিল্লার মানুষের সিদ্ধান্তে: বাহাউদ্দিন বাহার

‘কুমিল্লা চলবে কুমিল্লার মানুষের সিদ্ধান্তে, বাহিরের বুদ্ধিজীবীদের সিদ্ধান্তে নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।

তিনি বলেন, গত ৪-৫ বছর যাবত কুমিল্লার টাউন হলের জরাজীর্ণ ভবনটি ভেঙে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য কাজ করে আসছি। অত্যাধুনিক ডিজাইনের মাধ্যমে টাউন হলের ভবনটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় নতুন রূপ তৈরি হবে। কাজটি করার জন্য যখন আমি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, তখন কুমিল্লার কিছু সাংবাদিক বিরোধিতা করেছে। বাংলাদেশের কিছু প্রখ্যাত শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদেরকে ভাড়া করেছে এবং ভুল বুঝিয়েছে। আমি নাকি টাউন হল ভেঙে তার জায়গায় কমার্শিয়াল ভবন তৈরি করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ওই শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা চিলে কান নিয়ে গেছে বলে পাগল হয়ে গেছেন। পাগল হয়ে বাংলাদেশের ৫০ জন প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী টাউন হল রক্ষায় দাবি তুলেছেন। কুমিল্লার বীরচন্দ্র গণপাঠাগার রক্ষার দাবি করে একটি বিবৃতিও দিয়েছেন। তারা কি কখনও কুমিল্লা টাউন হলে এসে বক্তব্য দিয়েছেন, না অনুষ্ঠান করেছেন। তাহলে তারা কুমিল্লার কি সিদ্ধান্ত নেবেন। কুমিল্লার সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। ওনাদের সিদ্ধান্তে কুমিল্লা চলবে না, কুমিল্লা চলবে কুমিল্লার মানুষের সিদ্ধান্তে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা টাউন হল বীরচন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাহাউদ্দিন বাহার এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ এ বাংলাদেশ নাম থাকবে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও কনাডার সঙ্গে। ৪১ এর বাংলাদেশে ১৯৩৩ সালের দালান কিভাবে চলবে। ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছাতে হলে আমাদেরকে তাল মিলিয়ে সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। তার মধ্যে কুমিল্লা টাউন হলের ভবন অন্যতম। এই কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রের জরাজীর্ণ দালান নিয়ে উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছা সম্ভব নয়। তাই এই ভবনকে ভেঙে নতুন টাউন হলের ভবন নির্মাণ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই জরাজীর্ণ ভবন ঠিক রাখতে প্রতি বছর আমার নিজের কাছ থেকে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিতে হয়। এবারও বসার চেয়ার মেরামত রং ও দেয়ালে রঙের জন্য আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। রঙ দিয়ে ওপরের অংশ ঠিক রাখা যায় কিন্তু দালান মজবুত করা যায় না।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হকসহ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের সদস্যগণ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন