কুমিল্লা দেবীদ্বারে ৯মাসের শিশুও রেহাই পায়নি চাচার কাছে, ধ’র্ষক গ্রেফতার

কুমিল্লা দেবীদ্বারে ৯মাসের এক শিশু ধ’র্ষণের চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান(২১) নামে এক ধ’র্ষককে পুলিশ আটক করেছে। ধ’র্ষক সম্পর্কে শিশুটির চাচাতো কাকা। ঘটনাটি ঘটে রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মিন্টু মেম্বারের বাড়িতে। ধ’র্ষক হাবিবুর রহমান একই বাড়ির মৃত: আলেক মিয়ার পুত্র। হাবিব পেশায় রিক্সা চালক।

শিশুটির মা’(২৩) জানান, প্রতিবেশী হাবিব (সম্পর্কে আমার দেবর) তার মা’ ঘরে না থাকায় রান্না ঘরের চুলায় আগুন জ্বালিয়ে দিতে বলে। তখন আমার কোল থেকে শিশুটিকে নিয়ে যায়। আমি চুলা জ্বালিয়ে দেই, এ সময় আমার মেয়ের কান্নার আওয়াজ শোনে তার ঘরে যেয়ে দেখি হাবিব উ’লঙ্গ অবস্থায় মেয়ের উপর ঝাপটে পড়ে আছে। আমি জোর করে তার কাছ থেকে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে আসি এবং গোসল করাই। বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানাই। ওরা মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিতে এবং থানায় অভিযোগ করতে বলেন। আমি বেলা দেড়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসি। জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রুজিনা আক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান ষ্টপ (ওসিসি) বিভাগে ভর্তির জন্য রেফার করেন। পরে বিষয়টি জানাতে থানায় আসি।

এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীদ্বার থানা পুলিশ অভিযুক্ত হাবিবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

শিশুটির বাবা(২৮) জানান, অভিযুক্ত হাবিব সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমার মেয়ের মতো আর যেন কেউ ভোগান্তির শিকার না হতে পারে তার জন্য আমি তার সর্বোচ্চা সাজা দাবী করছি।

রসুলপুর ইউপি সদস্য মিন্টু মেম্বার জানান, ওই ঘটনায় তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা চেয়েছে। আর জীবনেও এমন কাজ করবেনা। বিকেলে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার রসুলপুর ভূমিহীন সংগঠনের আঞ্চলিক সভাপতি ফজর আলী জানান, সে পেশায় রিক্সা চালক হলেও মা’দক এবং বখা’টেপনায় এলাকার শীর্ষে আছে। কিছুদিন পূর্বে কুমিল্লা শহরে নারী কেলে’ঙ্কারীর ঘটনায় আটক হলে স্থানীয়রা ওই মহিলার সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। এখন শোনছি ওই বউও নেই। কিছুদিন পূর্বে শিশু বলদ’কারের ঘটনায়ও সামাজিক সালিসে তার বিচার করা হয়।

কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে ডাঃ রুজিনা আক্তার জানান, শিশুর মায়ের কথা শোনে ঘটনাটি স্পর্শকাতর মনে হওয়ায় প্রাথমিক সেবা দিয়ে শিশুটিকে কুমেক হাসপাতালের ওসিসি’তে রেফার করে দিয়েছি।

এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) আতিয়ার রহমান সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় সেলফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির যৌ’নাঙ্গে ক্ষতি না করতে পারলেও শিশুটিকে কোলে রেখে কৌশলে তার যৌ’নতৃপ্তি ভোগ করেছে। এসময় শিশুর চিৎকারে তার মা’ এসে জোর করে মেয়েকে উদ্ধার করে। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হাবিবকে ধরে নিয়ে আসি, অভিযুক্ত হাবিব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন