কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই করোনা পরীক্ষার কিট

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ১৫ শয্যার একটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। তবে কুমিল্লাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের জন্য এখনো কোনো কিট নেই।

কুমিল্লার বিবিরবাজার ও পার্শ্ববর্তী জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রয়েছে দুটি স্থলবন্দর। কুমিল্লা জেলার চারপাশে শতাধিক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে ভারতের সীমান্ত। প্রতিদিন বৈধ ও অবৈধপথে ভারতের লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ইতিমধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রামক ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিল্লা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এটিও ঝুঁকিতে রয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বেশি প্রবাসী কুমিল্লা জেলাতে। এ জেলার প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ প্রবাসী হওয়ায় ঝুঁকি আরো বেশি। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে এই নিয়েও মানুষের মাঝে রয়েছে চরম উৎকণ্ঠা।

কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য পৃথকভাবে কুমেক হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ শয্যা দেওয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা তা বিবেচনা করবো। তবে এখন পর্যন্ত কোন রোগী ভর্তি হয়নি।

এদিকে, কুমেক হাসপাতালে যারা করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবা দেবেন, সেসব চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ্রন ও উপকরণ আসেনি। এতে চিকিৎসক ও নার্সদেরও থাকতে হচ্ছে ঝুঁকিতে।

কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিব রহমান জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ইকুইপমেন্ট এখনো নিশ্চিত হয়নি। অনেক আগেই এসবের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। তবে এসব ইকুইপমেন্ট কিছুদিনের মধ্যে পেয়ে যাবো।

তিনি আরও জানান, ইকুইপমেন্ট না পাওয়া পর্যন্ত যদি কোন রোগী এখানে আসে তাহলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। যদিও সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও ঝুঁকিতে পরবেন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ কিট না থাকার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন তিনি।

অপরদিকে, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান বলেছেন, এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোন রোগীর নিশ্চিত তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে একজন ব্যক্তির মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে বলে জানা গেছে। তিনি প্রবাসে ছিলেন। মেডিকেল টিম তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে। যদি তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে তাকে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা প্রচারপত্র বিতরণ করেছি। জেলার সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নির্দেশিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বিশেষ মেডিকেল টিম রয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তির মাঝে এই রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

সূত্রঃ বার্তা২৪

আরো পড়ুন