কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে চালক-যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে

মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার একাধিকস্থানে দীর্ঘসময় ধরেও সংস্কার কাজ শুরু করেও শেষ না হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রায়ই বিকল হচ্ছে যানবাহন। এ অবস্থায় যানচালক ও যাত্রীদের দাবী দ্রুত সংস্কার শেষ করার।

দেশের অন্যতম ব্যস্ততম কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক। প্রতিদিন চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী,চাঁদপুর,কুমিল্লা থেকে অসংখ্য বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করছে সিলেট,হবিগঞ্জ,সুনামগঞ্জ,ময়মনসিংহ,কিশোরগঞ্জ,নেত্রকোনাসহ বিভিন্ন জেলায়। একইভাবে উল্লেখিত জেলা বা স্থান থেকেও প্রতিদিন বাস,প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস যোগে শত শত মানুষ যাতায়াত করছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম,কক্সবাজারসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের জেলাসমুহে।

এছাড়াও ব্যস্ততম এই সড়ক পথে সিলেট থেকে শত শত পাথরবাহী ট্রাক আসছে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। কুমিল্লার বাখরাবাদ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসসহ সিলেটের বিভিন্ন গ্যাস ও তৈল ক্ষেত্রের খননের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি,বিশাল আকারের পাইপ বিদেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে এসে এই সড়ক পথেই গন্তব্যে পৌছে। ফলে সড়কটি এমনিতেই ব্যস্ততম। কিন্তু ভালো নেই সড়কটির বিভিন্নস্থান। সরেজমিন ঘুরে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ওয়ার সিমেট্টি সংলগ্ন ফরিজপুর, হরিণধরা বিদ্যূৎ অফিস সংলগ্ন , কংশনগর এলাকায় প্রায় ৩’শ মিটার স্থানে বিগত সময়ে বড় বড় খানাখন্দক সৃষ্টি হয়েছিল। গত বর্ষা মৌসুম শেষে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কের উল্লেখিত স্থানে সংস্কারে হাত দেয়। এসময় রাস্তার কার্পেটিং তুলে সংস্কার কাজ শুরু করলেও অজ্ঞাত কারণে গত প্রায় ৫ মাসেরও বেশী সময় ধরে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তবে ঠিকাদারের লোকজন দু/তিন দিন পর পর পানি ছিটিয়ে ধূলা-বালি থেকে পথচারী ও যানবাহনের লোকজনদের রক্ষার চেষ্টা করছে। ময়নামতি এলাকার একাধিক লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কখনো এত দীর্ঘ সময় কাজ অসমাপ্ত রেখে দিতে দেখিনি। ফলে মাসের পর মাস এই সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

দীর্ঘ দিনেও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদুল্লাহ বলেন,টেন্ডার কাজ শেষে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই সড়কের কাজ শুরু হবে।

আরো পড়ুন