ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে মরে যাচ্ছে গাছপালা!

মো. জাকির হোসেনঃ জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা অংশের একাধিকস্থানে অবাধে ফেলা ময়লা-আবর্জনার বিষাক্ত বর্জ্যে মরে যাচ্ছে গাছপালা। এছাড়াও বর্জ্যের বিষাক্ত ময়লা আবর্জনার পানি মহাসড়কের পাশে ফসলী জমি,পুকুরে মিশে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রানীর। মাসের পর মাস এভাবে জমানো ময়লার দুর্গন্ধে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগও চরমে।

কুমিল্লায় রয়েছে দেশের প্রধান জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১’শ কিলোমিটার অংশ। প্রতিদিন এই মহাসড়কে সারাদেশ থেকে আসা কমপক্ষে ২৬/২৭ হাজার বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কের পাশে সাম্প্রতিক সময়ে জেলার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১’শ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পথের ২০/২৫টি স্থানে রাতে দিনে মিনিট্রাক,কাভার্ডভ্যান,ভ্যান,রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে বিপুল পরিমান ময়লা আবর্জনা ফেলছে। এতে চরম দুর্ভোগ বাড়ছে যানবাহন যাত্রী ও পথচারীদের। আর ময়লা আবর্জনা পঁচে,গলে সৃষ্ট বিষাক্ত বর্জ্য থেকে নিঃসৃত পানিতে হুমকীর মুখে মহাসড়কের পাশে থাকা গাছপালা,ফসলী জমি,পুকুরের মাছ।

জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরাবাজার এলাকায় মহাসড়কের পাশে দিন দিন ময়লা আবর্জনা ফেলায় বর্তমানে এখানকার গাছগুলো মরে যাচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা সদর ও বুড়িচং উপজেলার একাধিকস্থানে গড়ে উঠা হোটেল-রেষ্টুরেণ্ট,আবাসিক হোটেল,বহুতল ভবনের ময়লা-আবর্জনা প্রতিদিন এভাবে ফেলায় নাজিরাবাজারের মত আরো অনেকস্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমে পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। যানবাহনের যাত্রীরা দ্রুত চলে যাওয়ায় খুব একটা দুর্ভোগ না পোহালেও পথচারী কিংবা স্কুল ভ্যান, রিক্সা,সাইকেল,হোন্ডার যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা আরো বলেন, এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলায় এর বিষাক্ত বর্জ্যে মহাসড়কের নাজিরাবাজার এলাকায় গাছপালা মরে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নিরিহ লোকজন প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছেনা। এখনই মহাসড়কের পাশে ময়লা আবর্জনার ভাগাড় সৃষ্টি বন্ধে প্রয়োজনীয় বাবস্থা না নিলে বৃক্ষ শুন্য হয়ে যাবে মহাসড়কের দু’পাশ। প্রতিদিন এভাবে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধে স্থানীয় লোকজন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক কামরুজ্জামান সরকার বলেন,আপনি কিছু জানতে চাইলে অফিসে আসেন বলে ফোন কেটে দেন।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্লাহ বলেন,বিষয়টি জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন