দেবীদ্বারে সন্তানের পিতৃত্বের দাবীতে আদালতে মামলা

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সুবিল গ্রামের এক কিশোরী তার সন্তানের পিতৃত্বের দাবীতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই দাবীতে ভিক্টিমের মা (নেহারা বেগম) বাদী হয়ে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২-এর বিচারক জাহিদুল করিম’র আদালতে অভিযুক্ত মো.সুমন (২৩), তার পিতা- ধন মিয়া খাজা ও তার চাচাতো ভাই মো. ইমন সহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায় এলাকার বখাটে সুমন মিয়া (২৪) কর্তৃক বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। যার ফলশ্রæতিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারী (রোববার) এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে।

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে সুবিল গ্রামের মনু ফকির বাড়ীর হুমায়ন কবির’র ছেলে সুমন মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাদ্রাসায় পড়–য়া নবম শ্রেণীর কিশোরী ছাত্রী (১৭)।

ভিক্টিম জানান, গত তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল তাদের। সে তার বসত বাড়ীর সাথে অবস্থিত মামা জালাল মিস্ত্রীর বাড়ীতে বেড়াতে গেলে তারই সুযোগ নেয় সুমন।

সুমনকে বার বার বারন করা সত্বেও জোর পূর্বক সুমন তার সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে জড়িত হয়। সন্তানের মা হতে চলেছি বলে যখন সুমনকে বিষয়টি আমি জানাই, তখন সে এই বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমাকে অনুরোধ করে। আমি বিষয়টি কাউকে জানাইনি। যখন আমি তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে থাকি, তখন সে বলে, বিয়ের পর তোমাকে নিয়ে আমি ক্যান্টমেন্ট বাসা করে থাকব। আমার কসম তুমি এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলবেনা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমার বন্ধুর বিয়ে সম্পন্ন হবে, তার পরই আমি তোমাকে বিয়ে করব।

কিন্তু ঐ দিন সুমনের কোনো বন্ধুর বিয়ে ছিল না, পরে জানতে পারি ঐ দিন ছিল সুমনের নিজের বিয়ে। সুমন আমার সাথে প্রতারণা করেছে, যখন বিষয়টি আমি আমার পরিবারকে জানাই ঠিক তখনই আমার উপর নেমে আসে পারিরবারিক চাপ আর নির্যাতন। সামাজিক মানসম্মানের ভয়ে আমার বাবা মা আমাকে বিষয়টি গোপন রেখে সুমনের পরিবারের সাথে সমঝোতা করার চেষ্টা করে। ৭ ফেব্রুয়ারী হাসপাতালে সুমনের ঔরসজাত কণ্যা সন্তানের জন্ম দেই। এখন আমি আমার কণ্যা সন্তানের পিতৃপরিচয় চাই।

অপরদিকে অভিযুক্ত সুমনের মা জানান, এবিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সুমন এখন কোথায় থাকে তাও কেউ জানেনা।

এদিকে ভিক্টিমের বাবা-মা জানান, আমার যখন জানতে পেরেছি তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। এখন আমরা তার বিরুদ্ধে এ ঘটনায় কুমিল্লা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ মামলা দায়ের করেছি, আমরা আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে এর সুবিচার কামনা করছি।

আরো পড়ুন