প্রথম ম্যাচে হারের পর আমার ছেলে কাঁদতে-কাঁদতে মাঠের বাইরে চলে যায়: মেসি

চলতি কাতার বিশ্বকাপ অনেকটা আক্ষেপ নিয়ে শুরু করে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের বিপক্ষে ধরাশায়ী হয় মেসির দল।মন ভেঙে যায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের পর পরিবারের মনের অবস্থা কী ছিল সেটি ফাঁস করেছেন মেসি। মেসি জানালেন, সৌদির ধাক্কার পর কাঁদতে-কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিল তার সাত বছরের ছেলে মাতেও।

থিয়াগো আবার অঙ্ক কষে বোঝাচ্ছিল যে, কীভাবে নকআউটে যেতে পারবে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতার পর ডেপোরটিভিকে মেসি আরও বলেন, ‘প্রথম ম্যাচের পর মাতেও কাঁদতে-কাঁদতে মাঠের বাইরে চলে যায়। থিয়াগো অঙ্ক কষে বোঝাচ্ছিল যে, আমরা যদি দুটি ম্যাচই জিতি, তাহলে নকআউটে উঠে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্জেন্টিনার সব মানুষের মতো আমার পরিবারও কষ্ট পাচ্ছিল। এবার আমাদের মন ভালো হয়েছে। কারণ আমরা নকআউটে যাব কিনা, তা আমাদের হাতেই আছে।’ প্রথম ম্যাচে সৌদির কাছে ২-১ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। যে দল বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার, সেই তারা সৌদির সঙ্গে হেরে যাওয়ায় মন ভেঙে যায় আর্জেন্টিনার মানুষের।

বিশ্বকাপের নকআউটে ওঠা নিয়ে আর্জেন্টিনা শিবিরে আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছিল। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে, মেক্সিকোর কাছে হারলেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতেন মেসিরা। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিবারের মতো এবারও আর্জেন্টিনার ত্রাতা হন মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় গোলটি করেন এনজো। মেক্সিকোকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নক-আউটে ওঠার লড়াইয়ে এগিয়ে যান মেসিরা।

জয়ের পর মেসি বলেন, ‘ম্যাচের ফলাফলে আমি খুশি। আমি খুশি যে আমরা কয়েকদিন চুপচাপ থাকতে পারব।’ এদিকে আন্তোনেলা রোকুজ্জো ও মেসির তিন ছেলে। বড় ছেলে থিয়াগো। ২০১২ সালে তার জন্ম। ২০১৫ সালে মাতেও আসে মেসিদের পরিবারে। ২০১৮ সালে তৃতীয়বার বাবা হন মেসি। তৃতীয় সন্তানের নাম সিরো।

আরো পড়ুন