বঙ্গবন্ধুর কন্যা স্নেহময়ী মানুষ, আমার বিশ্বাস তিনি খালি হাতে ফিরাবেন না – এমপি বাহার

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি বলেছেন,এদেশের প্রতি ইি র জমির মালিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তিনি জাতি স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বিনিময়ে ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন। তেমনি কুমিল্লার পরিচয়ও খন্দকার মুশতাকের পরিচয়ে নয়। সকল ক্ষেত্রে আজ আমাদের কুমিল্লা এগিয়ে রয়েছে। বিগত চার বছর ধরে দেশের শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে কুমিল্লা। খাদ্য উৎপাদনে আমরা এগিয়ে রয়েছি। ৫৮ লাখ মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে আমরা ২ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যের জোগান দিচ্ছি। আমাদের মাছ উৎপাদন চাহিদার প্রায় দ্বিগুন। চলমান করোনা সংকটেও আমরা দেশের অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স দিয়েছি।

২১ অক্টোবর পার্টি অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কুমিল্লার শ্রেষ্ঠত্বর বিষয় নেত্রীর সামনে তুলে ধরেছি। নেত্রীর সাথে ৯ মিনিটের কথোপকথনে তিনি একটুও বিরক্ত হননি। ভাইয়ে দাবী নিয়ে বোনের কাছে কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ের কথা তুলে ধরেছি। আমার বিশ্বাস প্রিয় নেত্রী আমাদের খালি হাতে ফেরত দিবেন না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা স্নেহময়ী মানুষ, বঙ্গবন্ধুর মতোই বিশাল হৃদয়। তিনি কুমিল্লা নামেই বিভাগ দিবেন।

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের উদ্যেগে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ এবং অক্ষম ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী বাহার এমপি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান এড মো আমিনুল ইসলাম টুটুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. হোসনেয়ারা বেগম বকুল। এসময় উপজেলার ৬ ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অক্ষম ব্যক্তিদের মাঝে ৪০ টি হুইল চেয়ার এবং বিভিন্ন কোর্সের ২০০ শতাধিক প্রশিক্ষনার্থীর মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে এড. আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, আমাদের প্রিয় অভিভাবক প্রিয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি উপজেলা পরিষদ গোমতী পাড়ে স্থানান্তরের পর এখন গোমতী পাড়ে নতুন থানা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। নতুন থানা প্রতিষ্ঠা সচিব মিটিং এ পাশ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি কুমিল্লা মাটি ও মানুষকে ভালোবাসেন বলে কুমিল্লা কে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদ ভবন গোমতীর পাড়ে স্থানান্তর করতে বিগত ৪ বছর এক মন্ত্রনালয় থেকে আরেক মন্ত্রনালয়ে নিজ হাতে ফাইল নিয়ে ঘুরেছেন। দেশের ১১ টি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স রয়েছে শহর এলাকায় কিন্তু একমাত্র কুমিল্লা সদর উপজেলা ছাড়া আর কোন উপজেলা পরিষদ স্থানান্তর হয়নি কারণ ওইসব এলাকায় আমাদের মতো একজন উদ্যেগী নেতা নেই।

আরো পড়ুন