ব্রাহ্মণপাড়ায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটায় জমির মালিককে ১ লক্ষ ১০ হাজার জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত

আশিকুর রহমানঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের সাজঘর উত্তর পাড়া গ্রামে চান্দলা-মন্দবাগ সড়ক সংলগ্ন সরকারি খালের পাশে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ খনন যন্ত্র (ড্রেজার মেশিন) দিয়ে মাটি উত্তলন করায় পরিবেশ ও সরকারি খাল হুমকীর মুখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জমির মালিককে এক লক্ষ টাকা এবং খনন যন্ত্রের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানটি পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা সাজঘর উত্তর পাড়া গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মো. মানিক মিয়া দীর্ঘদিন যাবত চান্দলা টানাব্রীজ-মন্দবাগ সড়কের সংলগ্ন সরকারি খাল ঘেষে সাজঘর উত্তর পাড়া গ্রামে মালিকানাধীন জমির বিশাল আকৃতির একটি গর্ত খুড়ে মাটি উত্তলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। এ অবস্থায় ওই জায়গার আসে পাশের জমি ও পাশ্ব ঘেষে যাওয়া সরকারি খাল হুমকীর মুখে পড়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, মাটি ব্যবসায়ী মানিক মিয়া এলাকাবাসীর কথা তোয়াক্কা না করে চন্দলা-মন্দবাগ খাল ঘেষে জমিতে অবৈধ ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০/৩৫ ফোটের মত গভীর করে বিভিন্ন জায়গায় মাটি বিক্রয় করে আসছেন। তার এই বিশাল আকারে গর্ত খুড়ে মাটি বিক্রয় ও জমির গভীরতার কারণে আমাদের আশে পাশের জমি গুলো জন্য এখন হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া সরকারী খাল ঘেষে চন্দলা-মন্দবাগ সড়কটিও হুমকীতে পড়েছে।
খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ. জাফর সাদিক চৌধুরী গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌছে সত্যতা পান। ঘটনাস্থলেই উপস্থিত হয় জমির মালিক মো. মানিক মিয়া এবং খনন যন্ত্রের মালিক মো. জাহের মিয়া। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত বসান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। ওই সময় জমি ও খনন যন্ত্রের মালিক তাদের দোষ স্বীকার করেছেন।
ভ্রাম্যমান আদালত বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে জমির মালিক মানিক মিয়াকে এক লক্ষ টাকা এবং খনন যন্ত্রের মালিক জাহের মিয়াকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। একই সাথে অবৈধ খনন যন্ত্র তুলে নেয়।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, অবৈধ খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার দায়ে জমির মালিক মানিক মিয়া ও খনন যন্ত্রেও মালিক জাহের মিয়া তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। তাদেরকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে জমির মালিককে এক লক্ষ টাকা এবং খনন যন্ত্রের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন