মনোহরগঞ্জে স্বামীর পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় ফেরদৌস আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও পেটে লাথি মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার প্রবাসি স্বামী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খোরশেদ আলম ওই গ্রামের মো.ফখরুদ্দীনের ছেলে।

গতকাল সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানার নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ৮ বছর আগে উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামের মো.ফখরুদ্দীনের ছেলে শাহ আলমের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার চাটিতলা গ্রামের প্রবাসি বেলাল হোসেনের মেয়ে ফেরদৌস আক্তারকে বিয়ে করেন স্বামীর ছোট ভাই (দেবর) খোরশেদ আলম। বিয়ের কয়েক বছর পর খোরশেদ ওই গ্রামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। গত প্রায় ৪ মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে খোরশেদ ফের পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এনিয়ে স্ত্রী ফেরদৌস আক্তারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ঝগড়া লেগেই ছিলো খোরশেদের। পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় খোরশেদ প্রায়ই স্ত্রীকে মারধরও করতো। ওই গৃহবধূর চাচা মো.ওমর ফারুকসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেন, খোরশেদ শুধু পরকীয়া প্রেমই করতো না। সে ছিলো মাদকসেবী। আজ (গতকাল শনিবার) সকালে এসব বিষয় নিয়ে ফেরদৌসকে কয়েক দফা পেটায় খোরশেদ। তার পেটে লাথিও মারে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে জেনেছি। আজ বিকেলে এসে দেখেছি ফেরদৌসের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ। তবে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্ত খোরশেদ আলমকে পাওয়া যায়নি।

খোরশেদের পরিবারের বরাত দিয়ে নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বলেন, আমাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোরশেদের পরিবার দাবি করেছে, স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সে (ফেরদৌস আক্তার) বিষপানে আত্নহত্যা করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাথেরপেটুয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে জানান, আমরা ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের পক্রিয়া করছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন