কুমিল্লা মুরাদনগরে বিদ্যুৎ সংযোগর নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ

মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ মুরাদনগর উপজেলায় নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে এক শ্রেণীর দালালচক্র হরিলুটে নেমেছে। সর্বশেষ উপজেলার ৭নং পশ্চিম  বাংগরা  ইউনিয়নের কাগাতুয়া  গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অন্তত অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে টাকা দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, বিদ্যুৎবিহীন গ্রাম ছিল মুরাদনগর  উপজেলার ৭ নং পশ্চিম বাংগরা ইউনিয়নের কাগাতুয়া গ্রাম। ২০১৫ সালে ওই গ্রামে আড়াই কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণের জন্য অনুমোদন হয়। এ সুযোগে স্থানীয় দালাল জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির মুন্সি, মোবারক হোসেন, সবুজ, বিল্লালসহ একটি সিন্ডিকেট বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে অর্থ আদায় শুরু করেন। তারা গ্রামের ৪৫০  জন গ্রাহকের কাছ থেকে কৌশলে গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা তুলে নেয়।
বিদ্যুৎ গ্রাহক বাচ্চু মিয়া ও সানু হাজি  সহ লোকজন জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে আমাদের বাড়ির ঘরপ্রতি ১০ থেকে ১২  হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটের এক সদস্য মোবারক হোসেন  জানান, গ্রাহকরা আমাদের গড়ে ১০ -১২ হাজার টাকা মিটারপ্রতি দিয়েছে, তা আমরা ঠিকাদারকে দিয়ে দিয়েছি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা দিয়ে কাজ করাচ্ছি, তাই টাকা তুলছি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার রমজান  জানান, গ্রাহকরা শুধু আমাকে কোনো টাকা-পয়সা দেয়নি। এ বিষয়ে  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-  জোনাল অফিসের ডিজিএম  জানান, কাগাতুয়া  গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে অনিয়মের বিষয়ে আভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় এই দলাল চক্র  বর্তমান এম পি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন  কর্মী হিসাবে নিজেদেরকে এলাকায় জাহির করে এদের মধো দালাল জহির ২০১৩ সালের পূর্ব  সময়ে কায়কোবাদের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিল। অপর দালাল সবুজকে বর্তমান এমপি জোর পূর্বক কাগাতুায়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সভাপতি বানান। কিন্তু গ্রাম বাসী চেয়ে ছিল একজন সৎ, শিক্ষিত লোক হোক স্কুল কমিটির সভাপতি। তারা মনে করে একজন শিক্ষিত,  লোকই পারবে এ দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে।সবুজ এস এস সি পাস না হওয়ায় এ নিয়ে কানা ঘুষা শুনতে দেখা যায়।বর্তমানে এই দালাল চক্র নতুন করে বিদু্যৎ এর নামে আবার প্রতারনার ফাদ তৈরি করছে।

আরো পড়ুন