মূল ফটকের পরিবর্তে কৃত্রিম ফটকে হচ্ছে কুবির প্রথম সমাবর্তন

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রতিষ্ঠার তের বছর পেরিয়ে গেলেও তেমন কোনও মূল ফটক তৈরি হয়নি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের উপরে টানানো নামফলকেই পরিচয় পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রথম সমাবর্তনের আগে মূল ফটক করার আশ্বাস দেওয়া হলেও মূল ফটক নির্মাণ ছাড়াই কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়ালি) ফটকে হচ্ছে প্রথম সমাবর্তন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় এবং এর মধ্যে প্রধান ফটক নির্মাণ না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হতাশা ব্যক্ত করেন কুবি শিক্ষার্থীরা।

পিয়ার হোসেন নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী লেখেন, ‘চারদিক থেকে একটা বিষয়ে সমালোচনা হচ্ছে (গঠনমূলক), আর তা হলো- দীর্ঘ ১৩ বছর পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন কি মেইন গেইট বিহীন হবে? দীর্ঘ ১৩ বছরেও একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট থাকবেনা এবং গেইটবিহীন প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে! এটা মেনে নেয়াটা কষ্টকর’।

রাশেদ ইবনে নূর নামের এক শিক্ষার্থী লেখেন,এখনকার সময়ে কুবি শিক্ষার্থীদের জোড়ালো দাবি,প্রধান ফটক হোক অতি তাড়াতাড়ি।

আইন বিভাগের মোঃ রাসেল মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে ডেইলি কুমিল্লা নিউজকে বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক একটা বিশ্ববিদ্যালয়েকে সবার কাছে ভিন্ন ধাচে উপস্থাপন করে।কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক একটা সাধারণ বাড়ির ফটকের চেয়েও অসুন্দর।তাই বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসনের উচিত অতি দ্রুত সম্ভব একটা ফটক নির্মাণ করা।

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে মূল ফটক নির্মাণ করতে ১ বছর সময় লাগবে। কিন্তু প্রশাসন ইচ্ছে করলেই সমাবর্তনের আগে ফটক নির্মাণ করতে পারে। প্রশাসনকে অনুরোধ করবো সমাবর্তনের আগে ফটক নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের অন্যতম দাবির বিষয়টা চিন্তা করে দ্রুত ফটকের কাজ শুরু করবে। তিনি আরো বলেন, ভালো মানের ঠিকাদার নিয়োগ করে তিনমাসের মধ্যেই প্রধান ফটক নির্মাণ করা সম্ভব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, অনেক আগে থেকে প্রধান ফটকের টেন্ডার হয়ে আছে। প্রধান ফটকের কাজ এখন শুরু হলেও তা সমাবর্তনের আগে শেষ হবেনা। তাই কৃত্রিম (আর্টিফিশিয়াল) প্রধান ফটক নির্মাণ করে সমাবর্তন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন