লালমাইয়ে পুরস্কারের টাকার ভাগ না পেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক কতৃক ছাত্র প্রহারের শিকার

লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সাধুরা কলমিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার ছাত্র ইয়াছিন আরাফাত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম কর্তৃক শারীরিক প্রহারের শিকার হয়।

লালমাই থানা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করি এবং বেলঘর উত্তর ইউনিয়ন সকল নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান সকল সুদৃষ্টি কামনা করি এই প্রিন্সিপাল কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

উল্লেখ যে, ইতিমধ্যে শিক্ষক কতৃক ছাত্র প্রহারের ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, লালমাই প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।

‘পি এইচ পি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে’ প্রতিযোগিতায় ৪র্থ স্থান দখলকারী ছাত্রকে শারীরিকভাবে প্রহার করেছে।
কুমিল্লা লালমাই উপজেলাধীন বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত সাধুরা কলমিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার-ছাত্র ইয়াছিন আরাফাত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল

হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম কর্তৃক শারীরিক প্রহারের শিকার হয়।

ঘটনার বিবরনের জানা যায় সম্প্রতি ইয়াছিন আরাফাত পি “এইচ পি কোরআনের আলো প্রতিভার সন্ধানে প্রতিযোগিতায়-২০২২” এ অংশ গ্রহন করে ৪র্থ স্থান লাভ করেন,এই বাবদ সে পুরুস্কার হিসেবে নগদ একলক্ষ টাকা,একটি ল্যাপটপ,একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট ও একটি রৌপ্য মেডেল পায়।

সবগুলো পুরস্কার প্রিন্সিপাল রেখে দেয় এবং নগদ একলক্ষ টাকার জন্য তার মা সহ প্রিন্সিপালের কাছে দাবি জানালে অনেক তালবাহানার পর পঞ্চাশ হাজার টাকা তাকে প্রদান করা হয়। দাবি করে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয়ার পর থেকে ইয়াসিন আরাফাতের উপর প্রিন্সিপাল সাহেব ক্ষিপ্ত হয়ে কারনে অকারনে ক্লাসে মারধর করতে থাকে। সর্বশেষ গত ১৮/০৫/২০২২ তারিখ সকাল ৬ ঘটিকার সময় ইয়াসিন আরাফাতকে তার রুম থেকে অন্যান্য ছাত্রদের সহায়তায় টেনে হিঁচড়ে প্রিন্সিপালের অফিস কক্ষে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। মারের চোটে তার পরনে থাকা পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। পরে তার মাথা ন্যাড়া করে একটি রুমে তাকে বন্দি করে রাখে।

এর পরদিন ১৯/০৫/২০২২ তারিখ সকাল বেলায় ইয়াছিন মাদ্রাসার পিছনের পথ দিয়ে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং তার মা,ভাই ও আত্মীয় স্বজনের কাছে লোমহর্ষক এই ঘটনার বর্ননা জানা-জায়।

আরো পড়ুন