সৌদিতে কুমিল্লার তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবার বলছে হত্যা

সৌদি আরবের মক্কায় রাস্তার পাশ থেকে এক বাংলাদেশি তরুণের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন তার খালুশ্বশুর। নিহত বাংলাদেশির নাম হাসিবুল হাসান মুন্সী। তিনি ওই হাসপাতালে কাজ করতেন।

হাসিবুলের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ গ্রামে। তিনি আবদুল হান্নান মুন্সীর জ্যেষ্ঠ ছেলে। দেশে হাসিবুলের স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

গতকাল রোববার (৮ মে) হাসিবুলের মা নাসিমা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলের সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরেরদিন শুক্রবার ভোরে হাসিবুল তার স্ত্রীর সাঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিন দিন পর তার খালুশ্বশুর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

হাসিবুলের পরিবার মনে করছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গাড়িচাপায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করছে ওই হাসপাতালের মালিকপক্ষ। হাসিবুলের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আহাজারি করছেন বাবা-মা।

পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে এক আত্মীয়র মাধ্যমে চাকরির জন্য হাসিবুল সৌদি যান। তিন মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। কিছুদিন আগে আবারও উপার্জনের তাগিদে তিনি সৌদিতে কর্মস্থলে ফিরে যান।

আরো পড়ুন