কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রুপের সংঘর্ষ, ৭ পুলিশসহ আহত ১৫
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশ ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষে অন্তত সাতজন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়েছে। এসময় হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। শনিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাড়ি সর্দার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ঘোলপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ বলেন, ভিতরের রাস্তায় চলাচলকারী ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালকদের মহাসড়কে ধরে এনে মারধর করে হাইওয়ে পুলিশ। আজ (শনিবার) একজন প্রতিবন্ধী চালককে ধরে মারধর করে। এনিয়ে অন্যরা প্রতিবাদ করলে তাদের ১২/১৩ জনকেও পুলিশ মারধর করে।
এসময় তিনি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে লোকজনের কথা শুনার সময় তার মোটরসাইকেলে পেছনে এসে পুলিশের গাড়ি ধাক্কা দেয়। এনিয়ে জানতে চাইলে তারা তাকে ধাক্কা দেন। এতে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
চৌদ্দগ্রামের মিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মনজুরুল হক বলেন, আমরা উপরের নির্দেশে মহাসড়ক নির্বিঘ্ন রাখতে মহাসড়কে চলাচল করা সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটক করি। আজ একটি অটোরিকশা আটক করি। চালক প্রতিবন্ধী দেখে তাকে ছেড়ে দেই।
পরে স্থানীয় ঘোলপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ আমাদের গাড়ির সামনে তার মোটরসাইকেল নিয়ে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। তার নির্দেশে তার শ্যালক মাসুমসহ স্থানীয়রা আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
এসময় গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। তাদের হামলায় সার্জেন্ট আশিক, এসআই সিরাজুল এবং এএসআই দুলালসহ সাতজন আহত হন। আমাদের নিকট অস্ত্র নেই, একটা লাঠি পর্যন্ত নেই। তাদের উপর হামলার অভিযোগ সঠিক নয়।