ফুটবলের সব আয়োজন কাতারেই করা হোক: পিটারসেন
এবার কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ভেন্যু নিয়ে ব্যাপক সমালোচনায় মেতেছিল পাশ্চাত্যের গণমাধ্যম। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশকে বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচিত করে সমালোচনায় পড়েছিল ফিফাও। তবে দারুণ সফল এক বিশ্বকাপ আয়োজন করে নিন্দুকদের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছে দেশটি। বিশ্বকাপ নিয়ে কাতারেও আয়োজনে মুগ্ধ ইংলিশ ক্রিকেট কিংবদন্তী কেভিন পিটারসেন।
এই কিংবদন্তী এতোটাই মুগ্ধ যে, ফুটবলের পরের আয়োজনগুলোও কাতারে আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষুদ্র দেশ কাতারের ফুটবল বিশ্বকাপের মতো এত বড় আয়োজনের বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি ইউরোপিয়ান দেশগুলো। দেশটিতে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি দেশটির আচরণ নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিল পাশ্চাত্যের অধিকাংশ দেশ।
এমনকি কাতার বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক পর্যন্ত দিয়েছিল তারা। তবে দারুণ এক বিশ্বকাপ আয়োজন করে পাশার দান পাল্টে দিয়েছে কাতার। এখন ইউরোপিয়ানরা উল্টো কাতারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি কেভিন পিটারসেন। এতটাই মুগ্ধ তিনি যে, ফুটবলের পরের আয়োজনগুলোও কাতারেই করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন সবশেষ ইউরো ফাইনালে হওয়া দাঙ্গার বিষয়টিও।
এদিকে নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পিটারসেন লিখেছেন, ‘দাঙ্গাবাজবিহীন একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট। ওয়েম্বলিতে গত বছরের (ইউরোতে) অসম্মানজনক কাণ্ড এবং কাতারের বিশ্বকাপ—কাতার অনেক বেশি ভালো ছিল। সত্যিকার অর্থে অন্য স্তরে ছিল।’ কাতারের আয়োজনের প্রশংসায় এতোটাই পঞ্চমুখ পিটারসেন যে, তিনি ফুটবলের পরবর্তী আয়োজনগুলোও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে আয়োজনের পক্ষে। পরিবার নিয়ে নির্বিঘ্নে খেলা উপভোগ করার সুযোগ পেয়ে আপ্লুত তিনি।
পিটারসেন আরও লিখেছেন, ‘‘সম্ভবত প্রতিটি ফুটবল টুর্নামেন্ট মধ্যপ্রাচ্যে হওয়া উচিত। যেখানে দর্শকেরা বাবা, মা, নারী, পুরুষ সবাই এক খেলা উপভোগ করতে পারে। দুর্দান্ত কাতার।’ তার পোস্ট যে অনেকেরই গায়ে আগুন ধরিয়ে দেবে, তা ভালোই জানা পিটারসেনের। তাই সমালোচকদের বলছেন, কেউ কাতারে গিয়ে স্বচক্ষে বিশ্বকাপ দেখে না থাকলেও যেন নেতিবাচক মন্তব্য না করে।
তিনি লিখেছেন, ‘বিনীত অনুরোধ -দয়া করে এই পোস্টের প্রত্যুত্তরে কোনো নেতিবাচক কথা বলবেন যদি না, আপনি শারীরিকভাবে দোহায় উপস্থিত থাকেন এবং এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়েছে। ধন্যবাদ।’