খলিলের মাংসের ব্যবসায় ভাটা
কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসে ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। তবে ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন এই মাংস ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) তার দোকানে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্যানার টানানো দেখা গেছে। দাম বৃদ্ধির একদিনের মাথায় খলিলের মাংসের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরে ওই দোকানে গিয়ে দেখা যায়, আগের মতো ক্রেতাদের তেমন একটা দেখা মিলছে না। অনেকে আবার মাংস কিনতে এসে দাম দেখে ফেরত যাচ্ছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এটা একটা সিন্ডিকেট। প্রথমে কম দামে বিক্রি করে লোভ দেখানো হয়, এরপরই তাদের আসল রূপ দেখা যায়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করে পোষাতে পারছিলাম না। লোকসানে পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।
এদিকে ‘চাপে আছেন’ বলতে তিনি কী বোঝাচ্ছেন কিংবা কী ধরনের চাপ আছে, তা জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, আমি এখন আর খুব বেশি কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।
গত বছরের শেষ দিকে বাজারে যখন ৭০০-৭৫০ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল, তখন তিনি কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন। এরপর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ তার দোকানে মাংস কিনতে ভিড় করে। গত শুক্রবার তিনি এক কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন বলে জানিয়েছিলেন।