নিতে পারেননি কিছুই, কাপড়-নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়েছে ভারত
শিক্ষার্থী-জনতার রোষানলে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে পালানোর সময় নিজের নিত্যব্যবহারের বাড়তি জামাকাপড়ও নেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।
বুধবার (৭ আগস্ট) সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। এমন অবস্থায় তাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিয়ে সাহায্য করেছে ভারত।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশ উত্তাল হয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে আন্দোলন থামাতে চাপও দিচ্ছিলেন। পরে আন্দোলনকারীরা গণভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হলে বাধ্য হয়ে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ফলে বাড়তি জামাকাপড় নেওয়ার সুযোগটুকুও পাননি তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট ছাত্রদের ডাকা লং মার্চে দেশের সর্বস্তরের মানুষ সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। শেষ মুহূর্তে দেশ ছাড়ার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। আর এই সময়ের মধ্যে পদত্যাগ করা ও ভারতের প্রবেশের জন্য অনুমতিও চাইতে হয়েছে তাকে। যে জন্য শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে বাড়তি জামাকাপড়সহ নিত্যব্যবহারের জিনিসপত্র পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেননি তিনি ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীদের বহনকারী সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজটি ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছে হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। তখন সবাই ছিলেন পুরোপুরি দুর্দশাগ্রস্ত। বর্তমানে তারা বিমানঘাঁটির কাছের একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। আর সেখানে নিয়োজিত ভারতের নিরাপত্তা ও প্রটোকল কর্মকর্তারা হাসিনা ও তার সঙ্গীদের কাপড়চোপড়সহ নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র কিনতে সহায়তা করেছেন। সেই সঙ্গে ঘটনার আকস্মিক ধাক্কা ও চাপ থেকে বের হতে শেখ হাসিনাকে সাহায্য করছেন তারা।