নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ওই ছাত্রীর পরিবারের দায়ের করা মামলায় ধর্ষক জান্নাতুল বাকী কারাগারে। বর্তমানে কলেজছাত্রী ও তার পরিবার হুমকির মুখে রয়েছে। মামলা তুলে নিতে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক বাকীর পরিবারের লোকজন। এতে ওই পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ধর্ষক বাকী জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর মধ্যমপাড়ার সোলাইমানের ছেলে। ধর্ষিত ছাত্রী একই গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে ও কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিষয়ে অনার্সের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ৮ মার্চ জান্নাতুল বাকী ওই ছাত্রীকে কোটবাড়ি পাহাড়ী এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ছবি তুলে রাখে। পরে ধর্ষণের ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত আরও একাধিবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানায়। এতে ছাত্রীর বাবা বিষয়টি ধর্ষকের বাবাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনকে অবহিত করে বিচার দাবি করেন।
ছাত্রীর বাবা মো. আবুল কাশেম জানান, এ ঘটনার বিচার দাবি করার পর ধর্ষকের বাবা ও তাদের লোকজন গত শুক্রবার অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়। পরে ওইদিন রাতে আমার মেয়ে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ধর্ষক বাকীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর পর থেকে ধর্ষকের প্রভাবশালী বাবা ও তাদের লোকজন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মামলাটি তুলে না নিলে আমাদেরকে এলাকাছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে মেয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে আমি পারিবারিকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এ ঘটনার বিষয়ে জাকির হোসেন, মোশারফ হোসেন, নাসির উদ্দিন, সুলতান মিয়াসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এ ধরণের ঘটনায় এলাকায় সামাজিক ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এছাড়া এ ঘটনাটি জানাজানি হলে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ মামলার আসামি ধর্ষক জান্নাতুল বাকীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com