নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জানায়, ওই এলাকার শরিফুল ইসলাম (২৮), মো. জামান (২৭) ও হারিজ মিয়া (৩২) পাঁচ মাস আগে তাকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেয়েটির স্বজনরা টের পেয়ে যান। পরে এলাকায় জানাজানিও হয়ে যায়। যার ফলে এলাকার কিছু অসাধু লোক এক লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানরা জেনে ফেলে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার (৫ জুন) সকালে শরিফুল ইসলাম ও জামানকে আটক করে পুলিশ।
ধর্ষিতার ভাই এলিম জানান, নিজেদের থাকার জায়গা না থাকাতে বুড়িচং উপজেলার হরিপুর গ্রাম থেকে ২০/২২ বছর আগে আনন্দপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আশ্রয় নেই। তিন ভাইবোনের মধ্যে একমাত্র লিমা। অভাব অনটনের কারণে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তাকে লেখাপড়া করাতে পেরেছি।
‘এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত লিমার কাছে জানতে চাইলে সে শরিফুল, জামান, হারিজের কথা বলে। তারা বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে। এই বিষয়টি কয়েকদিন ধরে টাকার বিনিময়ে সমাধান হওয়ার চেষ্টা চলছিল। গ্রামের কেউ পুলিশকে খবর দিয়েছে। যার ফলে পুলিশ দুইজনকে আটক করে নিয়ে গেছে। আমরা গরীব মানুষ রিকশা চালিয়ে জীবন যাপন করি। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোজ কুমার দে বলেন, ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আরেকজনকেও আটকের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com