ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে চাঁদা না দেওয়ায় মো.সুজন নামে এক যুককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের মান্দারগাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সুজন ওই ইউনিয়নের চিলুয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো.সুজন জানান, একই ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সালেহ আহমেদের ছেলে আবদুল্লাহ, নুরুল আমিনের ছেলে রুবেল, পাশের চড্ডা গ্রামের লিটন বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবদুল্লাহ, রুবেল, লিটনসহ ৫/৬ জনের একদল সন্ত্রাসী মান্দারগাঁও পশ্চিম পাড়া এলাকার আবদুল কুদ্দুসের চায়ের দোকানের সামনে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে তাঁর পিঠে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এছাড়া টর্চলাইট দিয়ে চোখসহ পুরো শরীরে পেটাতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁর চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় স্থানীয়রা সুজনকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় আমি চট্টগ্রামে ছিলাম। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
অপর অভিযুক্ত রুবেল বলেন, আমি এ ঘটনায় জড়িত না। সুজনের চিৎকার শুনে সকলের সঙ্গে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সেখান থেকে আবদুল্লাহ, লিটন আর সাব্বির নামের একজন পালিয়ে যাচ্ছে। তারাই এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com