ডেস্ক রিপোর্টঃ গত দুই দিনে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। এর ওপর চরম তাপদাহে উপজেলার ২ লাখ গ্রাহকের জীবন হাঁসফাঁস। গতকাল বুধবার উপজেলার বাখনগর এলাকায় ৪টি বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে উপজেলার দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত থাকে।
সূত্র জানায়, বাখরনগর গ্রামের শিশু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম অরক্ষিতভাবে মাছ চাষ করার কারণে বিদ্যুতের খুটির নিচের মাটি সরে গিয়ে পরপর চারটি খুটি ভেঙ্গে পড়লে গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা এবং আজ বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষকে নাশকতার মামলা করতে বললেও তিনি স্থানীয়ভাবে সুবিধা নিয়ে মিমাংসার পথে হাটছেন বলেই জানা গেছে।
অফিস সূত্র আরো জানায়, জুন মাস বিদ্যুৎ অফিসের ক্লোজিন মাস। সিস্টেম লস যত কম হবে অফিস ততই লাভবান হবে। তাই অফিস লাভের কথা চিন্তা করে ইচ্ছে করে লোড শেড দেয়। অফিস লাভবান হলে প্রত্যেকটা কর্মকর্তা-কর্মচারী একাধিক বোনাস পায়। তাই তারা এই লোড শেড দেয়।
উপজেলার কোম্পনীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম হাবিবুর রহমানের সাথে খুটি ভাঙ্গার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নাশকতার মামলা করতে বলেছে। ১২ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি কেন ? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রক্রিয়াধীন আছে।
একাধিক বোনাস পাওয়ার জন্য আপনি ইচ্ছে করে লোড শেড দিচ্ছেন অফিসের খরচ কমিয়ে-এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। সাবস্টেশনগুলো ওভার লোড। তাই লোড শেড দিতে হয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সদর দপ্তরের জেনারেল ম্যানাজার প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,' বিদ্যুতের খুটির প্রক্টেশন দিয়েই মাছ চাষ করা উচিৎ ছিল। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলছি ডিজিএমকে। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। যাতে করে কোনো গ্রাহকের ভোগান্তি না পোহাতে হয়।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com