ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় নৈশকোচে পেট্রোল বোমা মেরে আট যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
তবে আরও কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় এখনই মুক্তি মিলছে না খালেদা জিয়ার।
খালেদার আবেদনের পক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী ও মাহবুব উদ্দিন খোকন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশিরুল্লাহ।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপাসনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিনের আবেদন করা হয়েছিল কুমিল্লার বিশেষ আদালতে। গত ১ জুলাই কুমিল্লার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কে এম শামছুল আলম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখালেও জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে আবেদনটি ৮ অাগস্ট শুনানির জন্য রেখে দেন। এরপর গত ১১ জুলাই হাই কোর্টে ফৌজদারি আপিলের পাশাপাশি হাই কোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হয়।
হাই কোর্ট কুমিল্লার আদালতের জামিন আবেদনটি ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। গত ২৫ জুলাই কুমিল্লার আদালত খালেদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে ২৯ জুলাই ফের হাই কোর্টে তার জামিন আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়েই সোমবার ছয় মাসের জামিন দিল হাই কোর্ট।
সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনে বিস্ফোরক আইনের মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রূপান্তর করা হয়।
এহসানুর রহমান বলেন, মামলাটি বাতিল চেয়ে গত ২৮ মে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি শুনানির অপেক্ষায় আছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com