ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়নের কাকিয়াখালী ও মোহনপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মাটিয়া নদীর তীব্র স্রোতে হুমকির মুখে মোহনপুর সেতু। ৪ বছর আগে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল মোহনপুর সেতুটি। বর্ষার পানি বাড়ায় সেতুর পশ্চিম পাশের এ্যাপ্রোচ ভেঙ্গে গেছে, পাশাপাশি সেতু সংলগ্ন একাধিক বসতবাড়িও বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে প্রশাসন ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নিতে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সরেজমিনে বুধবার দেখা যায়, সাপোর্টিং ওয়াল না থাকায় ব্রিজের নীচের বেঁলে মাটি সরে গেছে। বিশেষ করে সেতুর পশ্চিম পাশের এ্যাপোচের অধিকাংশ নদীর স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে, গোমতী নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে গেলে এ ভাঙ্গন আরো চরম আকার ধারণ করবে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দুধঘাটা, দড়িগাঁও, নন্দিরচর, বাটেরা, মোহনপুর, রায়পুর, কালাইকান্দি, সাতানী ও উজিরাকান্দি গ্রামের লোকজন যাতে কম সময় ও কম খরচে উপজেলা সদরে চলাচল করতে পারে সে বিবেচনায় মোহনপুর গ্রাম থেকে কাকিয়াখালি সেতু পর্যন্ত ১২শ মিটার প্রস্তাবিত রাস্তার মাঝে প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মোহনপুর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এদিকে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুহীত উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহিদ হাসান, মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ফারুক মিয়া সেতুটি পরিদর্শন করেন।
মোহনপুর ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মুকবুল মাহামুদ প্রধান জানান, টানা বৃষ্টি হলে মাটিয়া নদী দিয়ে পানি মেঘনায় প্রবাহিত হয়। ফলে স্রোত তীব্র আকার ধারণ করে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সেতুটির মোহনপুর অংশের এ্যাপ্রোচে এক-তৃতীয়াংশ বিলীন হয়ে গেছে। আমি বিষয়টি ইউএনও সাহেবকে জানিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, সেতুটি আমি পরিদর্শন করেছি। খুব খারাপ অবস্থা। তবে আশার আলো হলো, সেতুর এ্যাপ্রোচ ভাঙ্গনরোধে মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের সভায় সর্বসম্মুতিক্রমে রাজস্ব খাত থেকে ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com