মুরাদনগরে আ’লীগের দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে শোক দিবস পালিত
মুরাদনগর সংবাদদাতাঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যদিয়ে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকি ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। অপর দিকে মুরাদনগর থানা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে র্যালী করে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এ ঘটনাওকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত শোক সভা মঞ্চে উপজেলা আ’লীগ নেতাদের কোন আসন না থাকাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সাথে তুমুল বাক-বিতন্ডা চলে। এতে প্রায় ৩০ মিনিট অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে। এসময় একজন আটক ও একজন আহত হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা আ’লীগের কার্যালয় থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নেতৃত্বে একটি শোক র্যালি বের হলে মুরাদনগর থানা পুলিশ বাধা প্রদান করলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়।
আটককৃত সুমন ইসলাম(২০) নিমাই কান্দি গ্রামের মৃত্য সফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত ইকবাল(১৮) উপজেলা সদরের মন্টু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক স্থানীয় সতন্ত্র এমপি ইউছুফ আাব্দুল্লাহ হারুন ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের দুই গ্রুপের মধ্যে শোক র্যালী করাকে কেন্দ্র করে বুধবার ভোর থেকে উভয় গ্রুপের কমী-সমর্থরা আলাদা আলাদা জড়ো হতে থাকে। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় জাহাঙ্গরি আলম সরকারের নেতৃত্বে শোক র্যালী বের হলে পুলিশ বাধা দেয় এবং পুলিশি বাধাকে উপেক্ষা করে র্যালীটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দুয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অপর দিকে সকাল ১০টা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ হতে একটি র্যালী বের হয়। পরে উপজেলার কবি নজরুল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা মঞ্চে উপজেলা আ’লীগের নেতাদের আসন না থাকায় প্রশাসনের সাথে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। এতে প্রায় ৩০ মিনিট অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে। এ সময় মিলনায়তনের বাহিরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ছুড়িকাঘাতে ইকবাল(১৮) নামে এক জন আহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে পরে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ দল এখানে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে মতপার্থক থাকতেই পারে। এ আসনে যেই নৌকা প্রতিক পাবেন আমরা তার হয়েই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার আওয়ামীলীগের আয়োজিত শোক র্যালীতে পুলিশি বাধায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমাকে ও ইউছুফ সাহেবকে যারা একসময় মুরাদনগরে আসতে দেয় নাই তারাই আজ তার হয়ে কাজ করছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ জানান, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোক র্যালী ১০টায় বের হওয়ার কথা। আলাদা ভাবে র্যালী করার বিষয়টি আমাদের কেহ অবগত করেনি। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই আওয়ামীলীগের র্যালীটিকে ১০টার পর করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।