মো.জাকির হোসেনঃ কুমিল্লার ঐতিহাসিক লালমাই-ময়নামতিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন বেশ কিছু এলাকায় প্রতœতত্ত্ব বিভাগের বিভিন্ন নিদর্শণগুলোর পরিচর্যা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা সম্প্রতি শেষ হওয়া ঈদুল আযহাসহ গত দু’মাসের বেতন পায়নি। অভিযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বেতন না পেয়ে এসকল শ্রমিকরা ঈদের স্বাভাবিক আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে পরিবার পরিজনদের সাথে।
ডবভিন্ন দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়,ঐতিহাসিক লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের ঐতিহাসিক শালবন বৌদ্ধবিহার , ইটাখোলা মূড়া ,রূপবান মুড়া,লতিকোট মুড়া , চারপত্র মুড়া,আনন্দ বিহার ,ভোজ বিহার,কোটিলা মুড়া, ময়নামতি যাদুঘর, রানী ময়নামতি প্রাসাদ ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন বড় শরীফপুর মসজিদ,উচলাপাড়া,মসজিদ,শর্শদী,মসজিদ,অলিপুর মসজিদ ,বিথাঙ্গলা বড় আখড়া, আরিফাইল মসজিদ , জৈন্তাপুর শিলালিপি , সাত মঠ ফেনী,বকশী হামিদ মসজিদ পরিচর্যা ,নিরাপত্তা ও সংস্কার কাজের জন্য ৬৮ জন কর্মচারী দীর্ঘদিন ধওে দৈনিক শ্রমভিত্তিক কাজ করে আসছে। কেউ কেউ ২০ বছরেরও অধিক এখানে কাজ করছে। যাদের প্রতিমাসে ২৬ দিন বেতন দেওয়া হয়। বাকী ৪ দিন ছুটি থাকে। সরকারীছাড়াও বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানীতে কাজ করা শ্রমিকরা বছরের ঈদ,পূজা বড় দিনে বেতন বোনাস নিয়ে পরিবার পরিজনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করলেও এখানে কর্মরত শ্রমিকদেও সে ভাগ্য হয়নি। তাদের ভাগ্যে কখনো বোনাসও জুটেনি। যেখানে কাজ করলে শুধুমাত্র বেতন তার বাইওে আর কোন উপরি নেই। ঈদের আগে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধের নির্দেশনা থাকলেও তারা এখনো বেতন পায়নি। কবে পাবে তার দিন তারিখও জানা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল সুত্র জানায়,কুমিল্লা লালমাই-ময়নামতি এলাকায় প্রতœতাত্ত্বিক বিভাগের অধীন কাজ করা শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করছে। ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে এসব শ্রমিকদেও বেতন পরিশোধ করা হতো বিগত সময়ে। সম্প্রতি কুমিল্লা জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পদে নতুন একজন দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রেজারী চালানে প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মাষ্টার রোল শ্রমিকদেও কোড নম্বর সংযুক্ত না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা আঞ্চলিক পরিচালককে শ্রমিকদেও কোড নম্বও ব্যতীরেকে বেতন পরিশোধে অস্বীকার করেন। এঅবস্থায় ঈদুল আযহাসহ গত দু’মাস বেতন না পেয়ে নিরানন্দে কেটেছে তাদেও ঈদ পরিবার পরিজনদেও নিয়ে। একাধিক শ্রমিক জানান,বছরের পর বছর ধওে কাজ কওে গেলেও তাদেও চাকুরীর কোন স্থায়ীত্ব নেই। কাজে আসলে বেতন,না আসলে বেতন নেই। এাবস্থায় এখানে কাজ করতে করতে তাদেও কারো কারো বয়স বার্ধক্যে পৌঁছেছে। তাদের আবেদন, দ্রুত বেতন পরিশোধ করা হউক।
বিষয়টি জানতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের কুমিল্লার পরিচালক লাভলী ইয়াসমিনের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলতাফ হোসেন বিষয়টি স্বীকার করে জানান,আগামী মাস থেকে সমস্যা থাকবেনা।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com