কুমিল্লায় রাতের আঁধারে স্ত্রীর মরদেহ ফেলতে গিয়ে স্বামী ধরা
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় রত্না (২০) নামে এক গৃহবধূকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। পরে রাতের আঁধারে তার মরদেহ ঝোপে ফেলতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছেন স্বামী নাজমুল হাসান। এ সময় স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক নাজমুল হাসান আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের মদিনগর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নাজমুল হাসান কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় মুদি দোকানে ব্যবসা করে আসছিলেন। ওই দোকানে দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের রত্নার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় দেড় বছর আগে উভয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকায় তারা একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক নাজমুল হাসান জানান, বিয়ের পর থেকে রত্না প্রায়ই টাকার জন্য চাপ দিত। শনিবারও তাকে দুই লাখ টাকা দেয়ার জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে রত্নার মরদেহ তোষকে পেঁচিয়ে অটোরিকশাতে করে বিমানবন্দর এলাকায় নিয়ে ফেলে দেয়ার সময় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
কুমিল্লা ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আজিজুল হক জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিমানবন্দর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাজমুল হাসানকে আটক করা হয়েছে। রোববার সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ