নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ৭৩ তম সম্মেলনে (ইউনাইটেড নেশন জেনারেল এসেম্বলি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়েছেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল। সাবেক এ পরিচন্ন ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে জানাজানি হলে কুমিল্লার ছাত্র সমাজ সহ আওয়ামী মহলে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।

জানা যায়, আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল জেলার আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাঁপাপুর গ্রামের প্রয়াত আবদুর রশিদের তৃতীয় সন্তান। ছেলেবেলা থেকে পারিবারিক ভাবে সে আওয়ামী আদর্শে বেড়ে উঠেছেন। সদা হাসোজ্বল ও বিনয়ী স্বভাবের আ ফ ম আহসানউদ্দিন টুটুল ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল ২০০০ সালে মুজিব সেনা জেলা কমিটির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ২০০৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র উপ-সম্পাদক, ২০০৫ সালে কোতয়ালী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি জেলা ও আদর্শ সদর উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক অনেকগুলো সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন।

রাজনীতিক ও সামাজিক কর্মকা-ের পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের ভিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রয়াসে ২০০৯ সাল থেকে ‘টুটুল ট্রেড সিস্টেম’ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইনফরমেশন এ- টেকনোলজি (আইটি) সেক্টরে কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে ওই ফার্মের মাধ্যমে কম্পিউটার ও সফটওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলে অন্তত ৫ হাজার বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। পূর্ব পুরুষানুক্রমে আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুলের বাবা প্রয়াত আবদুর রশিদ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (২০০১-২০০৬) ছিলেন। ওই প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মনির হোসেন ঝান্টু। সকল মহলে সমাদৃত ছাত্রনেতা টুটুলের বড় ভাই আবু সাদাত মো. সায়েম মুকুট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন এবং তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। ১৯৯৬ সালে কুমিল্লা শহরের অজিতগুহ মহাবিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ মনোনীত মুন্না-টুটুল-মুকুট পরিষদে মুকুট ডিজিএস পদে নির্বাচন করেছিলেন। তাঁর (টুটুল) মেঝো চাচা রফিকুল ইসলাম ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি (ঘাদানিক) জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক। তিনি ১৯৭৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের (জাসদ) যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাসদের (রব) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং কুমিল্লা জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট চাচা শফিকুল ইসলাম কোতয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন এবং বর্তমানেও তিনি দলীয় কর্মকাডে এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখছেন। এছাড়া তাঁর নানা প্রয়াত আলী আহমেদ মজুমদার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস (১৯৫৬-’৫৭) ছিলেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা জেলার একজন ক্লিন-ইমেজের ছাত্রনেতা আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুলকে আসন্ন জাতিসংঘ সম্মেলনে সফরসঙ্গীর অন্তর্ভূক্ত করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আহসান উদ্দিন টুটুলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।