ডেস্ক রিপোর্টঃ ১২ ডিসেম্বর চান্দিনা মুক্ত দিবস। ১১ ডিসেম্বর সহস্রাধিক পাকিস্থানী আর্মি ও রাজাকারের দল পালাবার উদ্দেশ্যে বরুড়ার ঝলম হয়ে রামমোহন দিয়ে চান্দিনা আসার পথে তাদের সাথে চান্দিনার মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর যুদ্ধ হয়। তারা কোথা হতে আসছিলেন তা নিয়ে দ্বিমত আছে। কারো কারো মতে মিত্র বাহীনীর সেল নিক্ষেপের কারণে কুমিল্লা ক্যান্টলমেন্ট থেকে তারা পালাচ্ছিলেন।
আবার অনেকের মতে তারা চাঁদপুর হতে পালিয়ে আসছিলেন। সারাদিন ও রাতে যুদ্ধ হয় তাদের সাথে। পরের দিন ১২ ডিসেম্বর হারং উদালিয়ারপার এলাকায় ১৪৫৬ জন পাকিস্থানী আর্মি আত্মসমর্পণ করে। একই দিনে ফাঐ করতলার কেওরাতলা গর্তে আটকা পড়ে ৬ পাকিস্থানি সৈনিক। খবর পেয়ে মুক্তিকামী জনতা ও যোদ্ধারা সারাদিন যুদ্ধ করে। পরে শেষ রাতে গ্রেনেড চার্জ করে তাদের হত্যা করে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, ইউপিআর সদস্য কাজী আব্দুল লতিফসহ ৩ মুক্তিযোদ্ধা ও ৩ জন বীর জনতা শহীদ হন।১২ ডিসেম্বর চান্দিনার মুক্তিকামী যোদ্ধারা সর্বশেষ পাকবাহীনীর সাথে সম্মূখ যুদ্ধে অবতির্ন হয়। বিশাল অংকের পাকিস্থানী সৈন্যের আত্মসমর্পন ও সর্বশেষ বড় ধরনের সম্মূখ যুদ্ধ বলে ১২ ডিসেম্বরকে চান্দিনা মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তবে ইতিপূর্বে মিত্র বাহীনীর সহযোগীতায় চান্দিনা থানা দখল করে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। তবে তারিখটি নিয়ে দ্বিমত আছে। কারো কারো মতে ৫ বা ৬ ডিসেম্বর। আবার কারো কারো মতে ৮ ডিসেম্বর। তবে ৫ বা ৬ তারিখের কথাই বেশী পাওয়া যায় গবেষনায় ।
এদিকে দিবসটি উদ্যাপনে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী আবদুল মালেক জানান, সকালে চান্দিনা উপজেলা পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com