ডেস্ক রিপোর্টঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চার সন্তানের জননীকে (৩২) গণধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে তাদের গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতারকৃত সোহেল সূবর্ণচরের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। গ্রেফতারকৃত বাকি দু’জন হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে স্বপন (৩৫) ও একই গ্রামের আহমদ উল্লার ছেলে বাসু (৪০)।
সোহেলকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরীফ।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাসুকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে ও পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন মো. সোহেল (৩৫), মো. হানিফ (৩০), মো. স্বপন (৩৫), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বেচু (২৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশারফ (৩৫) ও ছালাউদ্দিনের (৩৫)।
এদিকে, বুধবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। মঙ্গলবার থানা থেকে অনুরোধপত্র পাঠানোর পর তাঁরা আলামত সংগ্রহ করেছেন। তবে পরীক্ষার ফলাফল এখনো তাঁর হাতে এসে পৌঁছায়নি।
এছাড়া, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পৃথক দুটি দল ঘটনার তদন্তে নোয়াখালীতে গেছে। তদন্ত দলের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারী, তাঁর স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে কথা বলেছেন।
গণধর্ষণের শিকার ওই নারীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com