ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের ডাইনিং ম্যানেজার অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আসমা আক্তার লিপিকে মারধরের জেরে গত এক সপ্তাহ ধরে ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই হলের প্রায় তিনশ আবাসিক ছাত্রী।
ভুক্তভোগী আসমা আক্তার লিপি জানান, ‘আমি গত ১৩ জানুয়ারি নোটিশ দিয়ে হলের যেসব ছাত্রীদের প্রদত্ত অগ্রীম টাকার চাইতে গৃহীত মিলের সংখ্যা বেশি হয়েছে তাদের মিল বন্ধ করে রেখেছিলাম। তবুও তাদের মধ্যে অনেকে মিল নিয়ে যায় এবং কিছু ছাত্রী মিল পায়নি। এ নিয়ে শোরগোল তৈরি হলে আমি বাবুর্চিকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন বাবুর্চি আমার নামে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইভী রহমানের কাছে বিচার দেবে বলে শাসান। পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান জেরিন ও অপর্ণা নাথ আমাকে আইভীর রুমে নিয়ে গিয়ে উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মারধর করেন।’
তবে ছাত্রলীগ নেত্রী আইভী বলেন, ‘মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। ডাইনিংয়ে বাকবিতণ্ডার বিষয়টি মিমাংসা করতে আমরা তাকে রুমে ডেকেছি। মিলের হিসাব চেয়েছি। পরে তার সঙ্গে কথা বলে মিটমাট হয়েছে।’
ডাইনিং চলার বিষয়ে এই নেত্রী বলেন, এখন থেকে ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে ডাইনিং চলবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাবার ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তা দেখার অধিকার ছাত্রলীগের আছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের জানান, ছাত্রী হলে ঝামেলার বিষয়টি আমরা ওইদিন (১৩ জানুয়ারি) রাতে মিমাংসা করেছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত ডাইনিং বন্ধ আছে জানতাম না। এটা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হল প্রশাসনকে অবহিত করছি।
ছাত্রলীগের ডাইনিং চালানোর বিষয়ে তিনি জানান, ডাইনিং চালানোর সিদ্ধান্ত দেবে হল প্রশাসন। তবে হিসাব যথাযথ রেখে ছাত্রলীগের কেউ সেই দায়িত্ব নিতে চাইলে তাকে দেয়া যেতে পারে।
এদিকে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এন. এম. রবিউল আউয়াল চৌধুরী শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ায় হল প্রাধ্যক্ষের পদটি শূন্য রয়েছে। এমতাবস্থায় হলের সার্বিক বিষয় ঠিকঠাক পর্যবেক্ষণ করাও যথাযথ হচ্ছে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন হলের আবাসিক ছাত্রীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ পদে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
সূত্রঃ জাগোনিউজ
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com