ডেস্ক রিপোর্টঃ অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে কুমিল্লা নগরীর ৯০ ভাগ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন। বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে হাইরাইজ ভবনগুলো। কারণ আগুন নির্বাপণের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা কার্যালয়ের। এদিকে গত কিছু দিনে কুমিল্লা নগরীর দুটি ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নগরীর ঝাউতলায় মুন হসপিটালে এবং একই এলাকায় কুইন্স পারলারে আগুন লাগে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয় তলার উপরের ভবনকে হাইরাইজ ভবন বলা হয়। নগরীতে এমন হাইরাইজ ভবন রয়েছে তিন শতাধিক। অধিকাংশ ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ভবনের পাশে পর্যাপ্ত রাস্তাও নেই। পর্যাপ্ত রাস্তা নেই নগরীর মনোহরপুর, বজ্রপুর, শুভপুর, রেইসকোর্স, ঠাকুরপাড়া, মোগলটুলী, কাপ্তানবাজার, কালিয়াজুরিসহ প্রভৃতি এলাকায়। এদিকে নগরীর মফিজাবাদ কলোনি ও নুনাবাদ কলোনি অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব কলোনিতে প্রতি বছর আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পানির ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া আগুন লাগলে জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার সিঁড়িও নেই ভবনগুলোতে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি সূত্র জানায়, অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তারা মান্ধাতা আমলের সরঞ্জামের ওপর নির্ভরশীল রয়েছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কুমিল্লা নগরীর ৯০ ভাগ ভবনের আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা নেই। ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের সময় কর্তৃপক্ষকে আরও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। নগরীর সড়ক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এবং অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারবে না। এই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হতে হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়–য়া বলেন, ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের সময় আগুন নির্বাপণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফাঁক ফোকর দিয়ে কেউ যেন ভবন তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, ছয় তলার উপরের ভবনের আগুন নেভানোর মতো সরঞ্জাম আমাদের নেই। রয়েছে জনবল ও সরঞ্জাম সংকট রয়েছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com