ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামের ৪ নম্বর শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ডাকাতিয়া নদীর মাটিতে পুতে রাখার ঘটনা ঘটেছে। সে গজারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
তাওহীদা ইসলাম ইলমা ওরফে প্রিয়া (৯) নামের শিশুটিকে একই বাড়ির লম্পট বাপ্পি ও তার ভাগিনা মিজান ধর্ষণ করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের জাকির হোসেনের ছেলে মাঈন উদ্দীন বাপ্পি, আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনকে আটক করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে তাওহীদা ইসলাম ইলমা ওরফে প্রিয়া নিখোঁজ হয়। স্বজনরা তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে একইদিন সন্ধার পর থেকে এলাকায় মাইকিং করে। কিন্তু তারপরও নিখোঁজ ওই ছাত্রীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে গিয়ে একই এলাকার নজীর আহমদ নিখোঁজ প্রিয়ার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা জড়ো হয় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, লাশ উদ্ধার ও লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে থানায় নিয়ে যায় এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এ দিকে শিশু প্রিয়ার ধর্ষণের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত বাপ্পি ও মিজানের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় তাদের দুইজনেরই বসত ঘর, রান্না ঘরসহ চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল আসামি বাপ্পিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com