মো.ওমর ফারুকঃ কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম বাখরাবাদ গ্যাস স ালন ৩৬ ইি পাইপ প্রকল্পের নতুন লাইন নির্মানের কাজ নাঙ্গলকোট উপজেলা অংশে চলছে পুরোদমে। যার ফলে গ্যাস ৩৬ ইি পাইপের নতুন লাইন নির্মান করার জন্য উপজেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মানুষের ঘর বাড়ি, ফসলি জমি ও মাছ চাষের পুকুর কেটে সাবাড় করছেন। এতে কেউ কেউ ক্ষতি পূরণ পাচ্ছেন আবার কেউ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কয়েক জন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউপির বড় বেরলা গ্রামের পুরবী বহুমূখী সমিতির মৎস্য চাষীরা।
পুরবী বহুমূখী সমিতির সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউপির বড় বেরলা গ্রামে পুরবী বহুমূখী মৎস প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৭ একর জমির উপর বেড়ী বাধাঁ নির্মান করে ১৯৯৯ সালে শিহর-বেরলা গ্রামে মৎস প্রজেক্ট গড়ে তুলেন রায়কোট উত্তর ইউপির শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ইলিয়াস, ঢালুয়া ইউপির চিওড়া গ্রামের মৃত আ. ছাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে নাছির উদ্দীন ভূঁইয়া ও বড় বেরলা গ্রামের নুর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের ছেলে মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেনসহ ওই এলাকার ১০জন শিক্ষিক বেকার যুবক একত্রিত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্যে মাছ চাষ শুরু করেন।
তাদের মৎস প্রজেক্টের ওপর দিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম বাখরাবাদ গ্যাস স ালন লাইন নির্মানের কাজ। গ্যাস লাইন নির্মানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ গত ১৭ থেকে ২৩ মার্চের মধ্যে ওই প্রজেক্ট থেকে মাছ সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেন। বর্তমানে ওই মৎস্য প্রজেক্টে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কেজি মাছ রয়েছে। যা ৫ দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া সম্ভ্যব নয়। এ নিয়ে বিপাকে পড়েন ওই সমিতির মৎস্য চাষিরা।
নোটিশের শর্ত অনুযায়ী মৎস্য প্রজেক্টের মালিকগণ মাছ সরিয়ে না নেয়ায় গত কয়েক ধরে ওই প্রজেক্টে মেশিন লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এতে করে ওই প্রজেক্টের পানি কমার সাথে সাথে মাছ গুলো মরতে শুরু করে।
এ বিষয়ে মৎস্য চাষি নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া ও ইলিয়াস বলেন, তাদের মৎস্য প্রজেক্টে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কেজি মন মাছ রয়েছে। প্রতিদিন মাছ ব্যবসায়ীদের নিকট প্রায় ৫ হাজার ২ শ কেজি মাছ বিক্রি করে। তার মধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪টি স্যালু মেশিন লাগিয়ে পানি কমাতে থাকেন। গত রবিবার থেকে গতকাল সোমবার সকালে প্রায় ৮ হাজার কেজি মাছ মারা যায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিলেও কোন ক্ষতিপূরন পায়নি তারা। মাছ চাষিরা ক্ষতিপূরন ও অবশিষ্ট ৮০ হাজার কেজি মাছ বিক্রিতে আরো ৫-৭ দিন সময় চান মৎস চাষিরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪০ হাজার কেজি মাছ বিক্রি করেছেন বলে চাষিরা জানান।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়িত্বে থাকা মাজারুল ইসলাম ও তাহের বলেন, আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না। এটি ডিসি অফিসের এখতিয়ার।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, মৎস্য চাষিদেরকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে মাছ সরিয়ে নেয়ার জন্য। তারা কেন মাছ সরায় নাই। তাদেরকে ক্ষতি পুরণ দেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com