বুড়িচংয়ে কর্তনকৃত অবৈধ গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপনের পায়তারা
জে.এইচ বাবু
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের ২১ টি গ্রামের প্রায় ২০ কিলোমিটার ৩ সহ¯্রাধিক অবৈধ কর্তনকৃত গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপনের পায়তারা করছে প্রভাবশালী একটি মহল। ইতিমধ্যে অবৈধ গ্যাস সংযোগটি পুনঃস্থাপনের আস্বাস দিয়ে গ্রাহক থেকে প্রায় ৯ লাখ টাকার উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের ২১ টি গ্রামে অবৈধ্য গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছিল স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এই মহলটি ইতিমধ্যে ২০ কিলোমিটার পাইপ লাইন টেনে প্রায় ৩ হাজার গ্যাস সংযোগ দেয়। সংযোগ প্রতি ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে কেটি টাকা হাতিয়ে নেয় মহলটি। সংযোগ দেয়ার পর গত ৩ বছরে ভূয়া বিল বই তৈরী করে প্রতি মাসে বিল উত্তোলন করে আসছিল তাঁরা। এ খবরে গত ২৯ এপ্রিল বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাহ্মিদা আক্তারের নেতৃত্বে র্যাব ১১ এর সিপিসি ২ এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার প্রণব কুমার, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর লিমিটেড এর ডিজিএম রবিউল হক ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কুমিল্লার আমতলী কামারখাড়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে বুড়িচং ষোলনল ইউনিয়নের ২১ গ্রামের প্রায় ৩ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এসময় প্রায় ১২’শ ফুট অবৈধ্য গ্যাস লাইন উত্তোলন করা হয়।
অবৈধ্য এই গ্যাস সংযোগ কর্তনের পর থেকে গ্রাহরা তাঁদের টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য বিক্ষোভ ও সংযোগ প্রদানকারীদের চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এদিকে অবৈধ্য গ্যাস সংযোগকারী মহলটি গতকাল থেকে গ্যাস সংযোগ গ্রহনকারী প্রত্যেক গ্রাহদের বাড়ী-বাড়ী যায়। নতুন করে সংযোগ প্রদানের আস্বাস দিয়ে তাঁরা প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা করে মোট ৩ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা আদায় করে।
গ্যাস সংযোগ গ্রহনকারী গ্রাহক আবদুল মালেক, মফিজুল ইসলাম, আবদুর রশিদ, সফিক ভূইয়া, মালেক মেম্বারসহ অন্তত ৫০ জন গ্রাহক জানান, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর তারা সংযোগ প্রদানকারীদের কাছে যায় টাকার জন্য। সংযোগ প্রদাকারীরা বলেন, আমরা উপরে কথা বলেছি। টাকার বিনময়ে নতুন করে সংযোগ দেয়া হবে। তাই প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে। তাই আমরা গ্রহক প্রতি ৩ শত টাকা করে দেই।