মো.ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক ধান ক্রয়ের কৃষকদের চেক না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে তিনজন কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরীর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি মণ ধান ১হাজার ৪০টাকা দরে ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত ২৩ মে জোড্ডা পূর্ব ইউপির হাসানপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে সোলাইমান ধান খাদ্য গুদামে নিয়ে পরীক্ষা করে। গত ২৬মে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ তার নিকট হতে বিআর ৬৭জাতের ৫০মণ ধান ক্রয় করে গুদামজাত করেন। কিন্তু ধান ক্রয়ের চেক দেয়ার একাধিকবার তারিখ দিলেও এখন পর্যন্ত একটি টাকার চেকও প্রদান করেননি। খাদ্য গুদামে টাকার জন্য গেলে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান স্থানীয় চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান বললে টাকার চেক দেয়া হবে।
এছাড়া, জোড্ডা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে কৃষক মাহবুবুল হকের কাছ থেকে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ গত ২৩ মে হীরা ১২শ ৩জাতের ৫০মণ ধান পরীক্ষা করে ২৬মে ধান ক্রয় করে গুদামজাত করেন। একই ইউনিয়নের পানকরা গ্রামের মৃত আবু তাহের ভুঁইয়ার ছেলে কৃষক এস আর শাহাবুদ্দিন ভুঁইয়ার কাছ থেকে গত ২৫মে খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ ২৮জাতের ৭৫মন ধান ক্রয় করে গুদামজাত করেন। তাকেও ধানের মূল্য বাবদ চেক দেয়ার বার-বার তারিখ দিয়েও এখন পর্যন্ত চেক দেয় নাই।
এবিষয়ে গতকাল বুধবার কৃষক সোলাইমান, মাহবুবুল হক ও এস আর শাহাবুদ্দিন ভুঁইয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তালিকা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক প্রতিজন কৃষকের কাছ থেকে ১শ ২০ কেজি থেকে শুরু করে ৩ টন পর্যন্ত ধান ক্রয় করার নির্দেশ দেন। এ অনুযায়ী সকল নিয়ম মোতাবেক খাদ্য গুদামে গিয়ে ধানগুলো দেয়ার পর গুদাম কর্তৃপক্ষ উৎকোচের জন্য ধান বিক্রয়ের চেক দিচ্ছে না। আমাদেরকে দিয়ে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে হিসাব খোলা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজী নিষেধ করাতে তাদেরকে ধান ক্রয়ের চেক দেয়া হচ্ছে না।
জোড্ডা পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজি বলেন, আমার ইউনিয়ন থেকে ২০জন কৃষক থেকে ২০টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতিজন থেকে এক টন করে ধান ক্রয় করার জন্য গুদাম কর্তৃপক্ষকে বলেছি। ওই তিনজন কৃষক ৭টন ধান গুদামে দিয়েছে। আমি গুদাম কর্তৃপক্ষকে বলেছি, প্রতিজন থেকে এক টনের বেশি ধান ক্রয় না করার জন্য।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দাউদ হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে বার-বার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। একটি সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসুস্থ রয়েছেন।
০১৭৫৮০৭৫১০২
২৯-৫-২০১৯
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com