ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মহানগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এসব সড়কের অধিকাংশ স্থানের ড্রেন ও পাকা অংশ বিলীন হয়ে গেছে। গর্ত আর খানাখন্দে ভরা নগরীর এসব সড়কে বিভিন্ন যানবাহন প্রায় সময় উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেক যাত্রী। নগরীর ব্যস্ততম দক্ষিণ চর্থা সরকারি মহিলা কলেজ হতে ইপিজেড পর্যন্ত সামান্য সড়কে স্বাভাবিক হাঁটাচলাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। বাসাবাড়ির ময়লা পানিতে নিমজ্জিত এ সড়কে প্রায় বছরজুড়েই জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু নগর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকার বাসিন্দা, পথচারী ও যানবাহনের চালকরা।
সরেজমিন ঘুরে বাসিন্দা ও পথচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে ড্রেনে এবং রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো বিলীন হয়ে গেছে। এসব রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত হয়ে অনেক স্থানে কূপের আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে নগরীর দক্ষিণাংশের হাজারো জনগণের যাতায়াতের ব্যস্ততম সড়ক দক্ষিণ চর্থা সরকারি মহিলা কলেজ হতে ইপিজেড সড়কটি ড্রেনে পরিণত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসীর দুঃখ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এ সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এ ছাড়া এ সড়ক হয়ে সরকারি মহিলা কলেজ, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল, জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লুত্ফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ নগরীর দক্ষিণাংশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। এ ছাড়া কুমিল্লা ইপিজেডের শত শত শ্রমিক, এলাকার রোগী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে এ সড়কে দিনে-রাতে চলাচলের ক্ষেত্রে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নুরুল হক, ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন, জালাল উদ্দিন, শিক্ষক রেজাউল করিমসহ বাসিন্দারা জানান, ‘এলাকাবাসীর দাবির মুখে প্রায় তিন বছর আগে সড়কটি যেনতেনভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু ছয় মাস না যেতেই ফের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ড্রেনও ভরাট হয়ে বিলীন হয়ে গেছে, এতে বহুতল ভবনসহ বাসাবাড়ির নিমজ্জিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কটি অনেকটা খালের মতো হয়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তার ময়লা পানি বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়ছে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ বলেন, ‘এ সিটির প্রায় ৩৫ ভাগ রাস্তার অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে মহিলা কলেজ হতে ইপিজেড সড়ক পর্যন্ত রাস্তাটি একেবারে খারাপ হয়ে পড়েছে। এটি সংস্কারের জন্য প্রায় ছয় মাস আগে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে কাজটি শুরু করা হচ্ছে না তা খতিয়ে দেখব। এ ছাড়া নগরীর যেসব এলাকার রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ তা সংস্কারের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।’
সূত্রঃ ইত্তেফাক
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com