জে.এইচ বাবুঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গোমতী হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় নবজাতক ও প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে দু’ঘন্টা হাসপাতাল অবরোধ করে রাখে নিহত প্রসূতির স্বজনরা। খরব পেয়ে বুড়িচং থানা ও দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ অবরুদ্ধ ডাক্তারদের উদ্ধার করে। রাতে ৬ লাখ টাকা নিহত প্রসূতি পরিবারকে দেয়ার কথা হলে উভয় পক্ষ সমযোতায় আসে।
জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিন ইউনিয়নের গারুচো গ্রামে আলী আশ্রাফের কন্যা মরিয়ম (২৮), এর রোববার দুপুরে উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের কংশনগর গোমতী হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে রাত ৯ টায় অপারেশন থিয়াটারে সিজাররত অবস্থায় নবজাতকসহ প্রসূতির মৃত্যু হয়। সে কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ কোয়াটার এলাকার মাসুক মিয়র স্ত্রী। নিহত মরিয়মের ১৭ মাস বয়সী আরো একটি মেয়ে আছে। তাঁর মৃত্যুর খবরে নিহতের স্বজনরা হাসপাতালে এসে ডাক্তারদের অবরুদ্ধ করে রাখে। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত সাড়ে ৮ টায় ডাঃ কবিতা সাহা ও তাঁর সহকারী ডাঃ মুহিত মরিয়মকে সিজার করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। আধ ঘন্টারপর স্বজনদের জানানো হয় মরিয়মের মৃত্যু হয়েছে।
খবর পেয়ে বুড়িচং ও দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের মুক্ত করে। পরে রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একাধিক বৈঠক শেষে ৬ লাখ টাকায় বিষয়টি রফাদফা হয়। সোমবার সকাল ১০ টায় নবজাতকসহ মরিয়মের জানাজা শেষে তাঁর বাবার বাড়ীর পার্শ্বে কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে মরিয়মের স্বামী মাসুক মিয়া জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারা মিলে আমার ১৭ মাসের মেয়েটির নামে একটি একাউন্ড করে এতে কিছু টাকা দিয়েছে।
বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযোগ করা হয়নি। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিমাংশা হয়েছে বলে শুনেছি।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com