ডেস্ক রিপোর্টঃ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা জিলা স্কুলের ১৮২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার দিনব্যাপী নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেন। অনুষ্ঠানে ষাটের দশকের শিক্ষার্থীসহ বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় উপস্থিত সকলে একাকার হয়ে যান। প্রবীন-নবীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারনায় স্কুলের আঙ্গিনা ভরপুর হয়ে উঠে।
এ উপলক্ষে র্যালী, স্মুতিচারণ, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। র্যালী শেষে জিলা স্কুল মাঠে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
জিলা স্কুল মাঠ থেকে বণার্ঢ্য র্যালীটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালীর উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিচারপতি মো. মামনুনুর রশীদ। র্যালীতে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, সাবেক সচিব মো. আনোয়ার ফারুক, বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট গোলাম ফারুক, ডা. আবু আয়ুব হামিদ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক মো. আবদুল কুদ্দুস, সদস্য সচিব কাউন্সিলর মো. ইমরান বাচ্চুসহ বিপুলসংখ্যক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন। পরে জিলা স্কুল মাঠে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রাষ্ট্রপতির স্কাউটস শাপলাকাব এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত স্কুলের ৮ জন শিক্ষার্থীও মধ্যে পুরস্কারও বিতরণ করা হয়।
১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা জিলা স্কুল তার ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় গৌরবোজ্জ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশব্যাপী সমাদৃত। ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের মেধা ও দক্ষতার সাথে বিভিন্ন উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও সমাজের সেবাকর্মে দায়িত্ব পালন করেন।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বর্তমান প্রধান বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া (অব.), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, সাবেক দুদক চেয়ারম্যান মো. গোলাম রহমানসহ অনেক স্বনামধন্য প্রকৌশলী, চিকিৎসক, অধ্যাপক, আইনজীবি, সাহিত্যিক ও সাংষ্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেশ ও সমাজসেবায় নিবেদিত কর্মি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা জিলা স্কুলের ১৩৯ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে দশজন শহীদ হয়েছেন। এদের মধ্যে স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র আবু জাহিদ হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে শহীদ হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জিলা স্কুল প্রাঙ্গনে সুদৃশ্য শহীদ মিনার এবং জিলা স্কুল মিলনায়তনটি শহীদ আবু জাহিদের নামে নামকরণ করা হয়।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com