তিতাসে দুই সতীনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দেবরের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার তিতাসে দুই সতীনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল দেবর আনু মিয়ার। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজাল কান্দি গ্রামে। নিহত আনু মিয়া উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজালকান্দি গ্রামের মৃত আবদুল ছালাম মিয়ার ছেলে।
তিতাস থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে কুমিল্লা মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আফজালকান্দি গ্রামের মৃত আবদুল সালামের ছেলে মোস্তাফা ফকির দুই বিয়ে করেন। হাসিনা বেগম (৫০) এর সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমা বেগমের (৪০) পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছোট স্ত্রীর ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে-মেয়েরা বড় স্ত্রী হাসিনা বেগমকে মারধর শুরু করেন। দেবর আনু মিয়া ঝগড়া থামাতে যান। ঝগড়া থামানোর এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে আনু মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আশে-পাশের লোকজন তাকে মুরাদনগর উপজেলার বাখরাবাদের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ নিয়ে বাড়ি আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে আনু মিয়ার লাশসহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মোস্তাফা ফকিরের দুই স্ত্রী, ছেলে-মেয়েসহ সাতজনকে আটক করে নিয়ে আসে। নিহত আনু মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম বলেন, দুই সতীনের ঝগড়া থামাতে গিয়ে আমার স্বামী প্রাণ হারিয়েছে। আমার স্বামী তাদের আঘাতে নিহত হয়েছে, এর বিচার দাবি করছি। তিতাস থানার ওসি মো. নুরুল আমিন বলেন, দুই সতীনের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন দেবর আনু মিয়া। তবে প্রাথমিক সুরতালে তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসার জন্য ঝগড়ার সাথে যারা জড়িত তাদের সাতজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।