মো.জাকির হোসেনঃ দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা আর জলাবদ্ধতায় প্রতিদিনই বাড়ছে মশার উপদ্রুপ। এতে করে এই মহাসড়ক দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী ছাড়াও মহাসড়কের পাশে থাকা বাসা-বাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে যখন এই রোগ নিয়ে চরম আতঙ্কিত মানুষ সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে কার্যকর কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে যে সড়কটি রয়েছে সেটা জাতীয় প্রধান মহাসড়ক। দেশের আমদানী রপ্তানীর সিংহভাগ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হওয়ায় এই সড়ক পথে সারাদেশে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এই বাইওে রয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার , রাঙ্গামাটি,বান্দবান , খাগড়াছড়ি,রামগড় ,চট্টগ্রাম ,টেকনাফ , সেন্টমার্টিনসহ অসংখ্যা দর্শনীয় স্থান। প্রতিদিন দেশ বিদেশের হাজার হাজার মানুষ ছুঁটছে প্রকৃতির সৌন্দর্য অবগাহনে উল্লেখিত স্থানে। আর এই মহাসড়কের প্রায় এক’শ কিলোমিটার অংশ রয়েছে কুমিল্লায়। সরেজমিন মহাসড়কের কুমিল্লার একাধিক স্থান ঘুওে দেখা গেছে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা বাসা-বাড়ি, বাজার, ভাসমান দোকানী বা হোটেল রেষ্টুরেণ্ট এর ময়লা আবর্জনায় মহাসড়কের দু’পাশ ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। কখনো কখনো ময়লা-আবর্জনা মহাসড়কের উপরও ফেলছে কোথাও কোথাও। এচিত্র দেখা গেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ কাচাঁ তরকারীর বাজার বুড়িচংয়ের নিমসার , নাজিরাবাজার সহ দাউদকান্দির গৌরীপুর , ইলিয়টগঞ্জ , চান্দিনার মাধাইয়া, বাগুড়, সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ,আমতলী ,আলেখারচর , পদুয়ারবাজারসহ বিভিন্নস্থানে। এসব স্থানে দিনের পর দিন ময়লা আবর্জনা ফেলায় মহাসড়কের পাশে বিশাল বিশাল আবর্জনার স্তুপ জমে গেছে।আর এসব ময়লা আবর্জনা পচেঁ-গলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে দুষনীয় হয়ে উঠেছে মহাসড়কের পাশের বিভিন্ন স্থানের পরিবেশ। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় জলাবদ্ধ পানি , ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বারবার নির্দেশনা দিলেও মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে সেটা বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগ।
এব্যাপারে কুমিল্লা পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. মোসলেহউদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন,যে সকলস্থানে ৩ দিন পানি জমে থাকবে সেখানেই ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারের আশঙ্কা থাকবে।
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুজ্জামান সরকার বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেব।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আহাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি। সচেতন হওয়ার পাশাপাশি একটি নির্দিষ্টস্থানে ময়লা ফেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ও জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুর এডিস মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাবনার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, এব্যাপারে সবার আগে সচেতন হতে হবে মানুষকে। পাশাপাশি মশক নিধনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিটিকরপোরেশন,পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com