ডেস্ক রিপোর্টঃ দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম- মনির হোসেন, সে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খোশঘর গ্রামের হাজী সোনামিয়ার পুত্র ।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক সিএনজি চালক ‘কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলার ইউছুফপুর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন কাউয়া ব্রীজের পাশ থেকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সী কক্ষে রেখে যায়।
পরে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের সহযোগীতায় তাকে কুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসারত অবস্থায় আজ সোমবার সকাল ১১টায় তার মৃত্যু হয়। এ সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর তার স্বজনের সন্ধান পাওয়া যায়।
তার পরিবারের লোকজন দেবীদ্বার ও কুমেক হাসপাতালে যোগাযোগ করে সনাক্ত করার পর রাতে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বরে জানা যায়।আগামীকাল নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাযা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
নিহত মনির হোসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী, দির্ঘদিন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছিলেন। সেখানে তার ব্যবসা রয়েছে। মুরাদনগর‘র নিজ গ্রাম খোশঘরে প্রায় ৩০ একর জমি রয়েছে। মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ বাজার সংগলগ্ন আ’লীগ নেতা জাগহাঙ্গীর আলম সরকারের বাড়ির পাশের ৪তলা ভবনের মালিক, দেবীদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুর ও বড় আলমপুর গ্রামেও প্রচুর জমির মালিক তিনি।
একজন কোটিপতি হওয়ার পরও পরিচয় অজ্ঞাত হওয়ার কারনে মানুষের সহযোগীতায় তার চিকিৎসা চলে। সে দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ’র সাবেক জিএস, দেবীদ্বার পৌর এলাকার মরিচাকান্দা গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মোহাম্মদ হোসেন সহ অনেকের সাথে পাটনারে ব্যবসা করেছেন। দেবীদ্বারেও তার অনেক পরিচিতজন ছিলেন, অথচ বিপদের মূহূর্তে তার পাশে পাওয়া যায়নি। সময়মতো এবং উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। তার সাথে থাকা মোবইল সেট ও মানিব্যাগটি থাকলে তার উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব ছিল। কারন, মোবাইল ফোনে যোগাযোগ, এবং মানিব্যাগের ঠিকানায় তার স্বজনদের দ্রুত খুঁজে পাওয়া যেত। মানিব্যাগের টাকায় তার উন্নত চিকিৎসা হত। এত সময়ও কালক্ষেপন হতো না। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টাকা ছাড়াও মোবাইল সেটটির মূল্য প্রায় ৮০ হাজার টাকা ছিল। তাকে উউদ্ধারের সময় লোভী কেউ ওগুলো নিয়ে পালিয়েছে। পকেটে শুধু মোবাইল চার্জাও ভাংতি কিছু টাকা ছিল।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com