ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধানদের নিকট থেকে ১০ শতাংশ হারে কমিশন আদায়সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে তদন্ত ও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
বুধবার এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়ে ওই জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সাংবাদিকদের সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে অশালীন ভাষায় মানহানীকর মন্তব্য তার ফেসবুক পেজে প্রচার করেন। তার এ ধরনের মন্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়লে জনপ্রতিনিধিরা পূর্বনির্ধারিত মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেন।
কুমিল্লার মুরাদনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেলুল কাদেরের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে ও তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব নির্ধারিত মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ওই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এতে বিগত সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও উপজেলার বিভিন্ন দফতরের কার্যক্রমসহ আইন-শৃংখলা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
টনকি ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন বলেন, ইউএনও রাসেলুল কাদের একজন চিহ্নিত ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ। আমরা তার আহ্বানে আর কোনো সভা বা সেমিনারে অংশগ্রহণ করব না। তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে আমরা আন্দোলনে নামব।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সমন্বয় সভা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সভাস্থলে গিয়ে দেখি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বারই সভায় আসেনি। তাই কোরাম সংকটের কারণে এ সভা স্থগিত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের বলেন, কী কারণে জনপ্রতিনিধিরা সমন্বয় সভায় আসেনি সেটা আমার জানা নেই। কোরাম সংকটের কারণেই সভা স্থগিত করেছি।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com