ডেস্ক রিপোর্টঃ বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। এতে ৩২১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালুর জন্য প্রস্তাবিত রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে সর্বোচ্চ ২৩৩ কিলোমিটার। এতে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা হয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম যাবে ট্রেন। আর হাইস্পিড ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার। এতে মাত্র ৫৪ মিনিটেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। যদিও বর্তমানে এ রুটে সাধারণ ট্রেনে যাতায়াতে কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে।
রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে কুমিল্লা/লাকসাম হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
আজ সংসদে জাসদের বেগম শিরীন আখতারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রীর মো. নুরুল ইসলাম সুজনের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক একথা জানান।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে দক্ষিণ এশিয়া উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার (সাসেক) রেল যোগাযোগ বিনিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় রেলওয়ের হালনাগাদ মাস্টারপ্ল্যান ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি অনুমোদন করা হয়েছে।
অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০৪৫ সালের জুন পর্যন্ত ৬টি পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণসহ মোট ২০টি রেলপথ ও রেলসংযোগ নির্মাণ করা হবে।
প্রস্তাবিত অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৯৮ দশমিক ৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ, ৯৭৭ দশমিক ৭০ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ, ৮৪৬ দশমিক ৫১ কিলোমিটার পুনর্বাসন, ৯টি গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু নির্মাণ, লেভেল ক্রসিং গেট, আইসিডি নির্মাণ, ওয়ার্কশপ, ১৬০টি লোকোমেটিভ, ১৮০৪ যাত্রীবাহী কোট সংগ্রহ, আধুনিক রক্ষণাবেক্ষণ ইক্যুইপমেন্টস সংগ্রহ, ২২২টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থার মানোন্নয়নে রেলওয়ে শক্তিশালীকরণ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
সূত্রঃ বাসস
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com