কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কুরু'চিপূর্ণ ও ধৃষ্ট'তাপূর্ণ মন্তব্য করায় এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মাম'লা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. সাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে আইসিটি ধারা ২৯ ও সাধারণ ধারা ৩১ মামলা করেন, যার মামলা নং ৩১।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে থিয়েটারের আয়োজনে শহিদ মিনারে ‘ক'বর’ নাটক পরিবেশন করে থিয়েটার। সময় স্বল্পতার কারণে কিছু সময় পর নাটকটি বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ হয়ে থিয়েটারের সাবেক সভাপতি ও আইসিটি বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদি হাসান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে বলা হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পতি'তালয়।

‘যার দা'লাল হচ্ছে সবকটা শিক্ষক আমি পুনরায় বলছি সবকটা শিক্ষক।’ তার এমন কু'রুচিপূর্ণ ও মানহানিকর স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এর মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়ে লিখিত দেন মেহেদি। এর প্রেক্ষিতে গত রোববার বিশ্ববিদ্যলযের শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক নিয়ে অ'শ্লীল মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রশাসন কর্তৃক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন।

এদিকে সোমবার মেহেদি হাসানের শাস্তি লাঘব করার দাবিতে মানববন্ধন করে থিয়েটারের সদস্যরা। তাদের দাবি, ক্ষমা চাওয়ার পরেও প্রশাসন বড় শা'স্তি দিচ্ছে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদি হাসান বলেন, আমি ভুল করেছি। ক্ষমাও চেয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ আমার জীবনের ঝুকি হয় এমন কোন শাস্তি যেন তারা না দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মা'মলা করা হয়েছে। তার সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর সনদ কেন স্থায়ী বাতিল করা হবেনা এই মর্মে তাকে শোকজ করা হবে। কিছু বিষয় আছে যার কোন ক্ষমা নেই।